
ছবিঃ সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার মধ্যে এবার মার্কিন সেনাদের ওপর সরাসরি ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত আইন আল-আসাদ বিমানঘাঁটির দিকে তিনটি ড্রোন নিক্ষেপ করা হলে, সেগুলো ভূপাতিত করা হয়—জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি, মার্কিন দুই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে।
এই বিমানঘাঁটিতে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো কেবল ইরাক নয়, মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই তাদের ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালাতে পারে।
সূত্র বলছে, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান সংঘাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছে তেহরান। ফলে ইরান আগেই মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার হুমকি দিয়েছিল। এবার সেই হুমকিই বাস্তব রূপ নিতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
স্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল শনিবার ফার্স বার্তা সংস্থার বরাতে জানায়, ইরান ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলোতেও হামলার পরিকল্পনা করছে। ফলে ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তা দ্রুতই বিস্তৃত হতে পারে গোটা অঞ্চলে।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, এই সংকট মোকাবেলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন সামরিক ঘাঁটিকে সক্রিয় ও সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে। যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় কিংবা পাল্টা আঘাত হানতে এখন তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে অন্তত ১৯টি স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী সামরিক ঘাঁটি পরিচালনা করছে। এর মধ্যে ৮টি স্থায়ী ঘাঁটি রয়েছে বাহরাইন, মিশর, ইরাক, জর্ডান, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এমন প্রেক্ষাপটে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইমরান