
ছবি: জনকণ্ঠ
ভোলার লালমোহন উপজেলার মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাটে যাত্রীদের নিকট থেকে নির্ধারিত ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা টোল নেয়া হচ্ছিল। রবিবার বিকেলে এই অনিয়মের ভিডিও ধারণ করেন লালমোহনের নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি এম. আর. পারভেজ। বিষয়টি টের পেয়ে ঘাট ইজারাদার আকতার ও ফিরোজ নামের দুই ব্যক্তি তার মোবাইল কেড়ে নেন। এ সময় তারা সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
সাংবাদিক এম. আর. পারভেজ জানান, “আমার অসুস্থ ভাগনিকে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে এগিয়ে দিতে মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাটে যাই। সেখানে ইজারাদারের লোকজন ৫ টাকার স্থলে ১০ টাকা টোল নিচ্ছিল। আমি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাদের প্রশ্ন করলে তারা খারাপ আচরণ করে। পরে আমি বাইরে এসে ভিডিও করতে গেলে আকতার ও ফিরোজ আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। মোবাইল ফেরত চাইলে তারা গালাগালি করে ও মারতে আসে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি লালমোহন থানার ওসিকে জানালে পুলিশ আসে। পরে যুবদল নেতা সোহাগ ও ইমামসহ তারা আমাকে বসিয়ে মোবাইল ফেরত দেয়। তবে আমার মোবাইলে থাকা অনিয়মের ভিডিও ও ছবিগুলো ডিলেট করে দেয়।”
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে মঙ্গলসিকদার ফাঁড়ির ইনচার্জসহ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মোবাইল সেট ফেরত দিয়েছে ইজারাদারের লোকজন। সাংবাদিক অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ বলেন, “এর আগে এ অনিয়মের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। ঈদের পর আমি নিজে সেখানে গিয়ে কোনো অনিয়ম পাইনি। ইজারাদারের লোকজন আমাদের অগোচরে অনিয়ম করে থাকে। আজকের ঘটনার বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ-কে জানানো হবে যাতে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়।”
শহীদ