
দৈনিক জনকণ্ঠ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রবিবার দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এতে উভয় পক্ষের ১০জন আহত হয়েছেন।
শনিবার বিকেল ৫টায় আহবায়ক কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দলের অভ্যন্তরে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা। ত্যাগী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা একদিকে কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন, অন্যদিকে ঘোষিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করছে আরেক পক্ষ।
শনিবার (১৪ জুন) বিকেল ৫ টাই গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ও সদস্য সচিব ব্যারিস্টার চৌধুরি ইসরাক আহমেদ সিদ্দিকীর স্বাক্ষরে কালিয়াকৈর উপজেলা এবং পৌর বিএনপির পৃথক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কমিটিতে নো ডিফেন্স শিকদারকে উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক ও এম আনোয়ার হোসেনকে সদস্য সচিব করে মোট ৪১ জন সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে ।
রবিবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, কালিয়াকৈর বাজার ও আশপাশের অলিগলিতে লাঠিসোঁটা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করে ত্যাগী ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
পদ বঞ্চিত নেতা কর্মীরা জানান , যারা গত ১৬ বছর ধারে রাজপথে দলের জন্য সংগ্রাম করে এসেছে, মামলা-হামলা ও কারাভোগ সহ্য করেছে, তাদেরকে উপেক্ষা করে সুবিধাভোগীদের দিয়ে একপক্ষীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে ,এটা মেনে নেওয়া যায় না।
নতুন কমিটি বাতিলের দাবিতে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শনিবার রাতেই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে এবং রোববার সকাল থেকে তা আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
বিক্ষোভকারী নেতারা জানান আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জেল খেটেছি, ত্যাগ স্বীকার করেছি। অথচ হঠাৎ কিছু সুবিধাভোগীকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে, এটা আমরা মানী না। অনতিবিলম্বে এই কমিটি বাতিল করতে হবে এবং তারা দলীয় ফোরামে বিষয়টি তুলে ধরবেন, দাবি না মানা হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।
এদিকে ঘোষিত কমিটির সমর্থনে দলীয় কার্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় মিছিল করেছেন অপরপক্ষের নেতাকর্মীরা। তারা নতুন কমিটির পক্ষে স্লোগান দেন এবং কমিটি বহাল রাখার আহ্বান জানান।
পুরো উপজেলা জুড়ে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি, পাল্টাপাল্টি মিছিলের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
হ্যাপী