
অভিনেতা সমু চৌধুরী ৯০ দশক থেকে এখনো অভিনয় করছেন। নায়ক দিয়ে শুরু করে এখন তিনি দেশের অন্যতম চরিত্রাভিনেতা। মাঝে খানিক বিরতিতে ছিলেন বটে। অভিনয়ের বাইরে মিডিয়ায় অভিনেতার অবস্থান অসম্ভব ভদ্র আর আড্ডাপ্রিয় একজন মানুষ হিসেবে। সম্প্রতি টাঙ্গাইলের গফরগাঁওয়ের মিসকিন মাজারের গাব গাছতলায় মাটির ওপর মাদুর পেতে গামছা পরে গভীর ঘুমে মগ্ন থাকার বিষয়টি ভাবিয়েছে অনেককে। অভিনয় শিল্পী সংঘের তত্ত্বাবধানে মাজার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলেই নিরাপদ উদ্ধারের পর অভিনেতাকে মধ্যরাতে নিয়ে আসা হয় ঢাকায়, নিজ বাসায়। পাশাপাশি সংঘের কর্তারা ভাবছিলেন, যদি কোনো সাপোর্ট বা চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, সেটি করা হবে সংঘের পক্ষ থেকে। কিন্তু সমু চৌধুরী জানান, তিনি একদম ফিট আছেন। মাঝে মাঝেই তিনি দেশের বিভিন্ন মাজারে বেড়াতে যান। তারই অংশ হিসেবে উক্ত মাজারে গিয়েছিলেন বুধবার (১১ জুন) রাতে। সঙ্গে বাড়তি কাপড় নেননি বলে, গরমে অতিষ্ঠ হয়ে সকাল নাগাদ গোসল করে পরনের কাপড় কেঁচে শুকাতে দেন। সেই ফাঁকে গা মোছার গামছাটি পরে গাছতলায় মাদুর পেতে শুয়ে একটু ঘুমিয়ে নেন। মূলত গাছের ছায়ায় শান্তির সেই ঘুমের ছবিটাই ভাইরাল হয়ে যায় ফেসবুকে। এখানেই ঘটনাটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি তখনই শেষ করেননি সমু চৌধুরী। ঢাকায় ফেরার পরই অভিনেতার মনে হলো তার মায়ের কথা। তিনি খুব করে চাইছিলেন, কিছুটা সময় যশোরে তার মায়ের সঙ্গে থাকতেন। সংঘ সায় দিলো। শুক্রবার দুপুরে সংঘের সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু গণমাধ্যমকে বলেন, গভীররাতে সংঘের তত্ত্বাবধানে ভাইকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ভাই বলছিলেন তার মায়ের কথা। মায়ের কাছে যেতে চান। ঢাকায় মন টিকছে না। ঢাকার বাসা থেকে কিছু কাপড়চোপড় নিয়ে একই গাড়ি নিয়ে ভাই যশোরে চলে যান মায়ের কাছে। অপু আরও জানান, সমু চৌধুরী সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। তাকে নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেন। অনেকেরই জানবার আগ্রহ থাকতে পারে, সমু চৌধুরীর পারিবারিক অবস্থান প্রসঙ্গে। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন, ঢাকায় নিজ বাসায় এসেও কেন যশোর ফিরে গেলেন বৃদ্ধ মায়ের কাছে। জানা গেছে, অভিনেতা এখনো সিঙ্গেল। যার জীবনে স্ত্রী-সন্তান-সংসার বিষয়ক কোনো জটিলতা নেই।
প্যানেল