ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

“৪৫ বছরের ভুল পথ?” ইরান এবার মুখ খুললো

প্রকাশিত: ২১:৪৯, ২৯ জুলাই ২০২৫

“৪৫ বছরের ভুল পথ?” ইরান এবার মুখ খুললো

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ “Snapback to Reality: On Iran's 45-Year Slog to Nowhere” বলা হয়েছে, ইরান ভুল নীতি অনুসরণ করে ৪৫ বছর ধরে ভুল পথে হাঁটছে। লেখক মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে শত্রুতা এবং পারমাণবিক কর্মসূচি ইরানের মূল সমস্যা। তার মতে, ইরান যদি এই নীতি পরিবর্তন করে ও ‘স্বাভাবিক’ দেশ হয়ে ওঠে, তাহলে পশ্চিমারা তাকে উন্নত হতে সাহায্য করবে।

এই বক্তব্যের বিপরীতে ইরানি দূতাবাস কিছু ব্যাখ্যা ও সংশোধনী তুলে ধরছে:

১. ইরানের বিপ্লব: মর্যাদার জন্য সংগ্রাম

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব শুধু প্রতিবাদ নয়, বরং মর্যাদা ও স্বাধীনতার জন্য একটি জাতির জাগরণ ছিল। বহু বছর ধরে বিদেশি হস্তক্ষেপ, অভ্যুত্থান ও রাজতন্ত্রে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ স্বাধীনতা চেয়েছিল। ইরান কারো শত্রুতা দিয়ে নয়, বরং নিজের স্বাধীন অবস্থান দিয়ে নিজেকে চেনাতে চায়।

২. পরমাণু চুক্তি (JCPOA) ও দায়িত্ব

ইরান পরমাণু চুক্তি ঠিকভাবে মানলেও যুক্তরাষ্ট্রই একতরফা সরে গিয়ে আবার নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর ইরান যে পদক্ষেপ নেয়, তা ছিল চুক্তির নিয়মের মধ্যেই। এখন "স্ন্যাপব্যাক" হুমকি হিসেবে দেখানো ঠিক নয়। ইরান আলোচনায় বিশ্বাসী, কিন্তু হুমকি বা চাপের রাজনীতি মেনে নেয় না।

৩. আত্মসমর্পণ নয়, ন্যায়ের দাবি

লেখক ইরানকে বলে দিয়েছেন, হয় নীতি বদলাও নয়তো ধ্বংস হও। কিন্তু ইরান যুদ্ধ চায় না, চায় ন্যায্যতা ও সম্মান। পশ্চিমা বিশ্ব যদি সত্যিই সমঝোতা চায়, তাহলে তাদেরও অতীত ভুল স্বীকার করতে হবে।

৪. আঞ্চলিক ভূমিকা: প্রতিরোধ, না আগ্রাসন?

ইরান যখন ফিলিস্তিন, লেবানন, ইরাক বা ইয়েমেনে কিছু দলকে সমর্থন দেয়, তখন বলা হয় সে সমস্যার উৎস। কিন্তু আসলে ইরান প্রতিরোধ করে দখলদারিত্ব ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে। সে বহুবার আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত মধ্যপ্রাচ্যের পক্ষে কথা বলেছে, যেটা আজও উপেক্ষিত।

ইরান আলোচনায় বিশ্বাস করে—শর্ত একটাই, তা যেন সম্মানজনক ও সমান ভিত্তিতে হয়। নিজের সার্বভৌম অধিকার ছেড়ে দিয়ে টিকে থাকার কথা ইরান কখনোই মেনে নেবে না।

আবির

আরো পড়ুন  

×