
ছবি: সংগৃহীত
সবকিছু ঠিক থাকলে আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে এই সফর কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন বাংলাদেশ আসিয়ান সদস্যপদ অর্জনে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সফরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রমিক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও সংস্কার, এবং অবৈধ প্রবাসীদের বৈধকরণ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি এই সফরকে কেন্দ্র করে নতুন আশার আলো দেখছেন। অনেক প্রবাসীই চাইছেন অবৈধ প্রবাসীদের দ্রুত বৈধতা দেওয়া হোক এবং পাসপোর্ট নবায়ন প্রক্রিয়া সহজ করা হোক।
একজন প্রবাসী বলেন, “পাসপোর্ট রিনিউ এখন খুব জটিল। আমরা চাই, এক ছাদের নিচে ওয়ান-স্টপ সেবা চালু হোক। তাহলে আমাদের মতো প্রবাসীরা হয়রানির শিকার হবে না।”
ব্যবসায়ী প্রবাসীরা মনে করছেন, এটি কেবল দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক নয়—এটি দুই বন্ধুর বৈঠকও। তাই বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক ফল আসার সম্ভাবনা অনেক।
তারা কর্মী নিয়োগ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে আউটসোর্সিং পদ্ধতি পুনরায় চালুর আহ্বান জানান। পাশাপাশি আসিয়ান সদস্যপদ পাওয়ার প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ার সমর্থন নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়।
এক প্রবাসী নেতা বলেন, “বাংলাদেশ অনেকদিন ধরে আসিয়ান সদস্য হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই সফরের মাধ্যমে আমরা আশা করছি মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে ইতিবাচক বার্তা পাবো।”
প্রবাসীরা আরও বলেন, একজন প্রবাসী বৈধ না থাকলে তার আয় মালয়েশিয়ায় থেকেও বাংলাদেশে পৌঁছায় না। ফলে মাসে অন্তত ৩ হাজার রিঙ্গিত রেমিটেন্স কমে যায়। তাই সরকার যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়—এটাই তাদের প্রত্যাশা।
সফরে অর্থপাচার ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ার সরকারের পাশাপাশি দেশটির সাবেক ও বর্তমান শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সাথেও বৈঠকে বসবেন।
এই সফর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক আরও জোরদার করার পাশাপাশি প্রবাসীদের জন্য বাস্তব সুফল বয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আসিফ