
ছবি: সংগৃহীত
গরমের দিনে মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালাটা অনেকের কাছেই স্বস্তিদায়ক মনে হতে পারে। কিন্তু হঠাৎ করে মাথায় বরফশীতল পানি ঢাললে হতে পারে বিপজ্জনক কিছু শারীরিক প্রতিক্রিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক, স্নায়ু ও শরীরের ভারসাম্যের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে। যারা হৃৎরোগে আক্রান্ত, তাদের জন্য এটি হতে পারে প্রাণঘাতী।
নিচে উল্লেখ করা হলো মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালার ৫টি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি ও প্রতিকারের উপায়:
১. হৃদযন্ত্রে চাপ ও অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
ঠান্ডা পানি মাথায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে এক ধরনের “কোল্ড শক রেসপন্স” শুরু হয়। এতে রক্তনালী দ্রুত সংকুচিত হয়ে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ডিজিজ বা ওষুধের প্রভাবে হৃদযন্ত্র দুর্বল, তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।
২. ঠান্ডাজনিত মাথাব্যথা
মাথায় হঠাৎ ঠান্ডা পানি পড়লে মস্তিষ্কে সংবেদনশীল স্নায়ু উত্তেজিত হয়ে তীব্র মাথাব্যথা শুরু হয়, যা "ব্রেইন ফ্রিজ" নামে পরিচিত। এটি কিছু সেকেন্ড থেকে মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
৩. কানের ভারসাম্যহীনতা ও মাথা ঘোরা
ঠান্ডা পানি কানের ভিতরের তাপমাত্রা হঠাৎ কমিয়ে দেয়, ফলে ভারসাম্য রক্ষাকারী স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে মাথা ঘোরা, বমিভাব, এমনকি অজ্ঞানও হতে পারে।
৪. স্নায়ু ব্যথা ও মুখের পক্ষাঘাত
মাথার ত্বক ও মুখের স্নায়ু হঠাৎ ঠান্ডা পানিতে আঘাতপ্রাপ্ত হলে অস্থায়ী স্নায়ু ব্যথা বা অচলতা দেখা দিতে পারে। যদিও এটি সাময়িক, তবুও বারবার ঘটলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন।
৫. মস্তিষ্কের হাইপোথারমিয়া
মাথার ত্বক দ্রুত তাপ হারায়, যার ফলে মস্তিষ্কের তাপমাত্রা হ্রাস পায়। এতে বোধশক্তি, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ও সমন্বয় ব্যাহত হয়।
নিরাপদ থাকার উপায়:
- খুব ঠান্ডা পানি মাথায় না ঢেলে গলা, কাঁধ দিয়ে শুরু করুন।
- কানের সুরক্ষায় ইয়ারপ্লাগ ব্যবহার করুন।
- ঠান্ডা পানির পর দ্রুত গা মুছে উষ্ণ পোশাক পরুন।
- ঠান্ডাজনিত অসুখ থাকলে ডাক্তার দেখিয়ে ঠান্ডা পানির থেরাপি নিন।
মুমু ২