
পাঁচ উইকেট শিকারি নাঈমকে ঘিরে সতীর্থদের উচ্ছাস। ছবি: ক্রিকইনফো
৬ উইকেটে ৪৬৫ রান নিয়ে প্রথম সেশন বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা। উইকেটে তখন ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস ও মিলান রত্নায়েকে। বিরতি থেকে ফিরে ১৫ রানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৮৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। নাঈম হাসানের ঘূর্ণি জাঁদুতে পাওয়া ১০ রানের লিড দিন শেষে ১৮৭। ৭ উইকেট হাতে নিয়ে শনিবার শেষ দিনে যথা সময়ে সেটা তিন শ’তে নিয়ে যেতে পারলে জয় সম্ভব।
আর গলে সেই স্বপ্নই দেখছেন তিন বছর পর ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া নাঈম। ‘অবশ্যই আমাদের জেতার জন্য যাওয়ার সুযোগ আছে। আমরা যদি খুব ভালো একটা সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারি। তারপর আমরা বল করব। পঞ্চম দিনের উইকেটে অনেক কিছু হয়।’দিন শেষে বলছিলেন নাঈম।
নাঈমের স্পিন ভেলকির পর গল টেস্টে ভালো অবস্থানে বাংলাদেশ। তৃতীয় সেশনে উইকেট থেকে উড়ছে ধুলা। ব্যাটারদের দিতে হচ্ছে কঠিন পরীক্ষা। ১০ রানে এগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে লিড ১৮৭। ৩০০ রানের লিড নিতে পারলে জেতার জন্য চেষ্টাও চালাতে পারে সফরকারীরা।
‘আমি একটা জিনিস চেষ্টা করেছি, ভালো জায়গায় বোলিং করা। পেস ভ্যারিয়েশন ও সিমের পজিশন নিয়ে একটি কাজ করে বোলিং করেছি। আমি একেকজন ব্যাটারকে একেক লাইনে বোলিং করেছি।’
গলে বিদেশের মাঠে দ্বিতীয় টেস্ট খেলছেন তিনি, তবে বল করেছেন প্রথমবার। প্রথমবারেই চমক—১২১ রানে শিকার ৫ উইকেট। বিদেশের মাঠে প্রথম ও টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থবার ৫ উইকেট নিয়েছেন নাঈম।
‘আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো লাগছে। উইকেটটা ব্যাটিংবান্ধব। তাই আমরা চেষ্টা করছি লম্বা সময় ভালো জায়গায় বোলিং করার। যখন রান আসবে না। ক্রিকেট তো রানের খেলা। চাপে পড়ে ব্যাটার অন্য কিছু করতে গেলে ভুল করবে। ওই পরিকল্পনা নিয়েই বোলিং করছি।’
মিরাজ /রাজু