
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া দুই সপ্তাহের সময়সীমা আসলে একধরনের কৌশল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা। তার মতে, ট্রাম্প ইরানকে ঘিরে সামরিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রে কূটনৈতিক প্রতিশ্রুতিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন—যার আড়ালে হামলার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত।
বিশারা বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হয়তো এই দুই সপ্তাহের সময়সীমাকে একটি কৌশলগত ছল হিসেবে ব্যবহার করছেন। যাতে মূল পরিকল্পনা গোপন রাখা যায়। খুব সম্ভবত, তিনি আগামীকালই হামলা চালিয়ে দিতে পারেন।”
বিশারা স্মরণ করিয়ে দেন, মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ইসরায়েল ইরানে বড় ধরনের হামলা শুরু করে, আর তার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী।
“এই ধরণের বিপরীতমুখী বার্তা নতুন নয়। অতীতেও আমরা দেখেছি, একদিকে শান্তির বার্তা, অন্যদিকে সামরিক পদক্ষেপ—ট্রাম্প প্রশাসন এভাবেই আন্তর্জাতিক প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করে এসেছে,”— বলেন বিশারা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের দুই সপ্তাহ সময়সীমা দেওয়ার পেছনে আন্তর্জাতিক জনমত প্রশমিত রাখা, মিত্রদের আশ্বস্ত করা এবং ঘরোয়া সমর্থন তৈরির কৌশল কাজ করতে পারে। তবে বিশারা সতর্ক করেন,
“এই সময়সীমার মধ্যে ইরান হয়তো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর ট্রাম্প প্রশাসন সেই প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়েই চমক দিতে পারে—ঠিক যেমনটা তারা অতীতে করেছে।”
ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গত সপ্তাহে ইসরায়েল তেহরানের একটি স্টেট মিডিয়া অফিসে হামলা চালায়, যাতে নিহত হন একজন সাংবাদিক। এরপর ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে চ্যানেল ১৪-এর মতো ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলকে বিপজ্জনক এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ফারুক