
ছবি: সংগৃহীত
যারা জমি কিনে রেখেছেন কিন্তু বেশি রেজিস্ট্রেশন খরচের কারণে এতদিন রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি—তাদের জন্য সুখবর। নতুন অর্থবছর অর্থাৎ ২০২৫-২৬ সাল থেকে জমির রেজিস্ট্রেশনে উৎসে আয়করের হার কমিয়ে দিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত দেশের সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের জন্য প্রযোজ্য হবে।
সম্প্রতি (২৬ মে ২০২৫) প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটে জমির শ্রেণি (ক, খ, গ, ঘ, চ, উ) অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়—
✅ ঢাকা জেলার জন্য করহার:
গুলশান, বনানী, মতিঝিল, তেজগাঁও থানা:
* রেজিস্ট্রেশন করহার: ৬%
* সর্বোচ্চ খরচ: প্রায় ৯ লাখ টাকা
ধানমন্ডি, ওয়ারী, তেজগাঁও:
* করহার: ৬%
* সর্বোচ্চ: ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা
কাফরুল, মোহাম্মদপুর, সূত্রাপুর:
* করহার: ৬%
* সর্বোচ্চ: ৪ লাখ টাকা
খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা, পশ্চিম মুগদা:
* করহার: ৬%
* সর্বোচ্চ: ৩ লাখ ৫০০ টাকা
✅ চট্টগ্রাম জেলার জন্য করহার:
খুলসি, পাশলাই, পাহাড়তলি, করতোয়া:
* করহার: ৪%
* সর্বোচ্চ: ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা
আকবর শাহ, ইপিজেড, কর্ণফুলী:
* করহার: ৪%, তবে এটি ক্রমিক ১-৬ এর বাইরে থাকলেও রেট প্রযোজ্য
✅ ঢাকার বাইরের কিছু এলাকার করহার:
দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, ধামরাই:
* করহার: ৪%
সর্বোচ্চ: ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা
✅ সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকায়:
অন্যান্য জেলার সিটি কর্পোরেশন বাদে
* করহার: ৪%
* সর্বোচ্চ: ১ লাখ টাকা
✅ পৌরসভা এলাকায় রেজিস্ট্রেশন করহার:
* সারণী ১: দলিলে উল্লেখিত ভূমিমূল্যের উপর ৩% কর বা ১০,০০০ টাকা বা তার বেশি
* সারণী ২: ২% কর অথবা প্রতি শতাংশে ৫০০ টাকা (যেটি বেশি হয়)
🔍 গুরুত্বপূর্ণ:
এই হার ২০২৫ সালের জুলাই থেকে কার্যকর হবে। জেলা, উপজেলা ও জমির শ্রেণি অনুযায়ী কর ভিন্ন হলেও আগের তুলনায় খরচ অনেকটাই কমে এসেছে।
আসিফ