
সংগৃহীত
ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী উত্তরাধিকার আইন (ফরায়েজ) অনুসারে একজন নারী তার আত্মীয়তার ধরন অনুযায়ী নির্দিষ্ট হারে সম্পত্তির ভাগ পেয়ে থাকেন। ইসলামে নারীদের উত্তরাধিকারের যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, তা ছিল সে সময়ের সমাজ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। নারী একজন স্ত্রী, কন্যা, মা কিংবা বোন হিসেবে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণে সম্পত্তির অধিকারী হন।
স্ত্রী
- একজন স্ত্রী স্বামীর মৃত্যুর পর যদি সন্তান রেখে যান, তবে তিনি সম্পত্তির এক অষ্টমাংশ (১/৮) ভাগ পান। তবে সন্তান না থাকলে স্ত্রীর অংশ এক চতুর্থাংশ (১/৪) হয়।
কন্যা
- একজন মাত্র কন্যা থাকলে এবং কোনো পুত্র না থাকলে, কন্যা পায় মোট সম্পত্তির অর্ধেক (১/২)।
- একাধিক কন্যা থাকলে, তারা মিলে দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩) ভাগ ভাগ করে নেয়। তবে যদি পুত্র থাকে, তাহলে একজন পুত্রের ভাগ হয় একজন কন্যার দ্বিগুণ।
মা
- মৃত ব্যক্তির মা, সন্তানের মৃত্যুর পর যদি তার সন্তান বা একাধিক ভাইবোন থাকে, তবে মা পান এক ষষ্ঠাংশ (১/৬)।
- তবে যদি এমন কেউ না থাকে, মায়ের অংশ হয় এক তৃতীয়াংশ (১/৩)।
বোন
- বোনেরা উত্তরাধিকার হন তখনই, যখন মৃত ব্যক্তির পুত্র বা পিতা কেউই জীবিত না থাকেন।
- এক বোনের ক্ষেত্রে তার ভাগ হয় অর্ধেক (১/২) এবং
- একাধিক বোন থাকলে তারা মিলে দুই-তৃতীয়াংশ (২/৩) ভাগ ভাগ করে নেয়।
- ভাই থাকলে, একজন ভাই পান দুইজন বোনের সমান অংশ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসলামি উত্তরাধিকার আইনে নারীকে শুধু সম্পত্তির অধিকারই দেওয়া হয়নি, বরং পারিবারিক দায়িত্ব অনুযায়ী একটি ভারসাম্যপূর্ণ কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
পুরুষের ওপর পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব থাকার কারণে তাকে নারীর দ্বিগুণ সম্পত্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।ইসলামি দৃষ্টিকোণে এই ব্যবস্থা একটি ন্যায্য ও সুবিচারপূর্ণ পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।
হ্যাপী