সংগৃহীত
ঈদের পরবর্তী সপ্তাহেও দেশের শেয়ারবাজারে নেমে এসেছে হতাশার ছায়া। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক, লেনদেন এবং অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর—সবই কমেছে। বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও আগ্রহ কমে যাওয়ায় এই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
সূচকের ধারাবাহিক পতন
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স টানা পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সপ্তাহে সূচক কমেছে ১২৪ পয়েন্ট; মাসিক হিসেবে এই পতনের পরিমাণ ৬৫ পয়েন্ট। শেয়ারের দাম কমেছে প্রতিদিন গড়ে ২০০টির বেশি কোম্পানির ক্ষেত্রে, যেখানে দাম বেড়েছে মাত্র ১৭০টির কাছাকাছি প্রতিষ্ঠানের।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজারে স্থিতিশীলতা নেই বলেই সূচক সাময়িকভাবে বাড়লেও তা ধরে রাখা যাচ্ছে না।
লেনদেনেও মন্দা
বাজারে লেনদেনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩১৮ কোটি থেকে ৩৫৬ কোটি টাকা, যা পূর্বের গড় লেনদেন ৪০০ কোটি টাকা তুলনায় অনেকটাই কম। সাপ্তাহিক গড় হিসাবেও লেনদেন হয়েছে ৩৪৩ কোটি টাকা, যা আগের সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম।
শেয়ারদরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
বাজারে কিছু ব্যাংক ও সূচকভুক্ত কোম্পানির শেয়ারদরে কিছুটা বৃদ্ধি দেখা গেলেও তা সামগ্রিক বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। বাজারে আস্থা সংকট ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অনুপস্থিতি বাজারকে নেতিবাচক প্রবণতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বাজার বিশ্লেষকদের মত
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে দীর্ঘ মেয়াদি কাঠামোগত সমস্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিনিয়োগকারী আস্থার ঘাটতি এবং পর্যাপ্ত প্রণোদনার অভাব,এই চারটি বড় কারণেই বর্তমান অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিনিয়োগকারীরা এখনো অপেক্ষমাণ অবস্থানে আছেন। যতক্ষণ না দৃশ্যমান পরিবর্তন আসে,বাজারে সক্রিয়তা ফিরে আসবে না।”
বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক হতাশা বিরাজ করছে। সূচকের পতন, লেনদেনের হ্রাস এবং দর কমার কারণে বাজারে মন্দাভাবের প্রতিফলন সুস্পষ্ট।
ভবিষ্যতে স্থিতিশীলতা আনতে হলে সরকারের নীতিগত সহায়তা, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি।
হ্যাপী
