
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিজের ছেলের বিয়ের দেরিকে ‘যুদ্ধের ব্যক্তিগত ক্ষতি’ বলে মন্তব্য করায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। বিশেষ করে যখন ইরানি হামলায় নিহত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, তখন এমন বক্তব্যকে অনেকেই ‘সংবেদনহীন’ এবং ‘আত্মকেন্দ্রিক’ বলছেন।
বিয়েরশেভার সরোকা হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পটভূমিতে নেতানিয়াহু বলেন, “আমার ছেলের বিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পেছাতে হয়েছে। আমার স্ত্রী এবং ছেলের বাগদত্তাও এই পরিস্থিতিতে খুব কষ্ট পেয়েছেন। আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে যুদ্ধের ক্ষতি বইছি।”
তিনি ব্রিটেনের ‘Blitz’ যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে ইসরায়েলের বর্তমান সংকটের তুলনা করেন এবং নিজের স্ত্রী সারা নেতানিয়াহুকে “নায়িকা” বলেও অভিহিত করেন।
নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যকে ‘অনুভূতিহীন’ ও ‘নিজস্ব প্রচার’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বহু রাজনীতিক ও সাধারণ মানুষ।
ক্নেসেট সদস্য গিলাদ কারিভ বলেন, “অনেক পরিবার আছে, যাদের সন্তানরা আর কখনোই বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবে না। তারা আর জীবিত নেই।”
এক গাজা বন্দীর মা, আনাত আংগ্রেস্ট, মন্তব্য করেন, “আমার সন্তান গাজার কারাগারে ৬২২ দিন ধরে বন্দি। ছেলের বিয়ে নিয়ে অভিযোগ করার সময় কীভাবে পান নেতানিয়াহু?”
সাংবাদিক আমির টাইবন বলেন, “এই ব্যক্তি সব সময় নিজেকে আগে রাখেন, এমনকি জাতীয় সংকটের মধ্যেও।”
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইরানের হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, ইরানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৬৩ জন সাধারণ মানুষ।
মূল বিয়ের তারিখ ছিল ২০২৪ সালের নভেম্বরে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে সেটি বাতিল করা হয়। দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ে ঠিক হয়েছিল চলতি সপ্তাহের সোমবার। তখনো চলছিল ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা এবং বিক্ষোভের হুমকি।
মুমু ২