
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরান-ইসরাইলের চলমান সংঘাত গড়িয়েছে সপ্তম দিনে। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ইরানের প্রতি সরাসরি সমর্থন জানিয়ে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। শুধু ক্ষেপণাস্ত্রই নয়, ইসরাইলকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের ক্যান্সার’ বলেও আখ্যা দিয়েছে দেশটি। অন্যদিকে, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক।
১৯ জুন বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রাজধানী পিয়ং ইয়ংয়ের কাছে সুমান এলাকা থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ১০টিরও বেশি মাল্টি-লঞ্চার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে এবারই প্রথম আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “বিশ্ব আজ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা স্পষ্ট করে দেয়, ইসরাইল হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর পৃষ্ঠপোষকতায় মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক ক্যান্সারসদৃশ সত্তা এবং বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রধান হুমকি।”
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এক সরকারি ভাষণে বলেন, “এই যুদ্ধে ইরান একা নয়। আমাদের বাহিনীকে সর্বোচ্চ যুদ্ধ প্রস্তুতির স্তরে আনা হয়েছে। আমরা আমাদের মিত্রদের কঠিন সময়ে কখনও একা ফেলে দিই না।”
অন্যদিকে, ইরান-ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে তুরস্ক। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে রয়টার্স জানায়, আঙ্কারা স্থানীয়ভাবে বহু স্তরবিশিষ্ট রাডার ও অস্ত্র ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করছে, যার মাধ্যমে একটি সমন্বিত বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।
১৩ জুন, ইরানে ইসরাইলি হামলার পরপরই তুরস্কের প্রতিক্রিয়াশীল যুদ্ধবিমানগুলো আকাশে টহল শুরু করে। আঙ্কারা জানায়, যদি ইসরাইল তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।
ইমরান