ইরানিদের অটল থাকার আহ্বান খামেনির

অবশেষে ইরানে মার্কিন হামলা পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিতে যাচ্ছে। তবে হামলার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসার সুযোগ দিতে ট্রাম্প আপাতত হামলা থেকে বিরত রয়েছেন। ইরানের ফোরদোতে ভূগর্ভস্থ পরমাণু স্থাপনা প্রকল্পে ট্রাম্প হামলার বিষয়টি বিবেচনা করছেন বলে ওই মার্কিন কর্মকর্তা ইঙ্গিত করেন।
এদিকে ইসরাইলিদের হামলায় ভয় না পেয়ে নিজ দেশের জনগণকে অটল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেন, শত্রু যদি বুঝতে পারে আপনি ভয় পাচ্ছেন, তা হলে তারা আপনাকে ছাড়বে না।
তবে ইরানে সম্ভাব্য মার্কিন হামলা নিয়ে দেশটির কূটনীতিকদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি তৈরি হয়েছে। দেশটির প্রভাবশালী কূটনীতিক ডেভিড স্যাটারফিল্ড বৃহস্পতিবার বলেন, ইরানের ওপর সম্ভাব্য মার্কিন হামলা নিয়ে ওয়াশিংটনের মতবিরোধের কারণ ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ‘প্রভাব’ নিয়ে নয়।
এটি বরং এই জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে এই ধরনের পদক্ষেপ আসলেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির চূড়ান্ত অবসান ঘটাতে পারবে কি না। তিনি বলেন, আমেরিকার জন্য ইসরাইলকে জোরালোভাবে সমর্থন করা এক জিনিস। আর নিজের বিমান ও অস্ত্র ব্যবহার করে ইরানের মাটিতে হামলা করা অন্য জিনিস। 
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া থেকে সরে আসতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, এখানে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার বড় ঝুঁকি আছে। তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে কূটনৈতিক সমাধান খোঁজার আহ্বান জানান। স্টারমার বলেন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে এবং আমার মতে, এটিই এই সমস্যা সমাধানের উপায়। 
স্টারমারের এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি উত্তেজনা কমানোর উদ্দেশ্যে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ট্রাম্পের শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিওর সঙ্গেও দেখা করবেন।
খবর পার্স টুডে, আলজাজিরা, বিবিসি ও মেহের নিউজ অনলাইনের।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরাইলের আগ্রাসনে ভয় না পেয়ে অটল থাকতে নিজ দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে এই আহ্বান জানান খামেনি। তিনি ইরানের জনগণের উদ্দেশে বলেন, শত্রু যদি বুঝতে পারে আপনি তাদের ভয় পাচ্ছেন, তা হলে তারা আপনাকে ছাড়বে না।
ইরান বারবার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে। ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরি না করার কথা বলেছেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডও। কিন্তু ট্রাম্প তার এই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলের একাধিক শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইসরাইলের বিরুদ্ধে অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ এর আওতায় এসব হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় এক গুচ্ছ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ও আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের হামলায় যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বলে দাবি করেছে ইরানের গণমাধ্যম। ইরানি সংবাদমাধ্যামের দাবি, ইসরাইলের কয়েক স্তরবিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই রাজধানী তেল আবিবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।

ইসরাইলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার দৃশ্য সম্প্রচার করার ব্যাপারে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সত্ত্বেও এসব হামলার ছবি ও ভিডিও ব্যাপকভাবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আতঙ্কিত ইসরাইলি প্রাণভয়ে দিগি¦দিগ ছুটে পালাচ্ছে। ইসরাইলি হতাহতের খবর প্রচার করার ওপর বিধিনিষেধ থাকলেও কোনো কোনো ইসরাইলি সূত্র কেবল বৃহস্পতিবারের হামলায় ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
দেশটির বিরশেবা, তেল আবিব, হোলোন ও রামাতগন শহরে দফায় দফায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যচ্যুত হয়ে বিরশেবা শহরের একটি হাসপাতালে পড়ে। এতে হাসপাতালটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই হামলার পরই ইসরাইল কর্তৃপক্ষ ইরানের সবোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার কথা ঘোষণা করে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ইরান বিরশেবার সোরোকা হাসপাতালে এবং মধ্যাঞ্চলে সাধারণ মানুষের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। আমরা তেহরানের কাছ থেকে এর পুরো মূল্য আদায় করব। এরপর ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ বলেন, আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ‘আর বেঁচে থাকার সুযোগ দেওয়া যায় না।’ 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইসরাইলকে ধ্বংস করতে চান। হাসপাতালের ওপর হামলার নির্দেশও তিনিই দিয়েছেন। হাসপাতালে হামলা নিয়ে অবশ্য ব্যখ্যা দিয়েছে ইরান। তেহরান বলেছে, ঘটনাটি ভুলক্রমে ঘটেছে। আমাদের টার্গেট ছিল হাসপাতালের পাশের একটি সামরিক স্থাপনা। 
এদিকে একই দিন ইসরাইল ইরানের একাধিক স্থাপনায় হামলা করে। এতে উভয় পক্ষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ইসরাইল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা, জ্বালানিকেন্দ্র, বিমানবন্দর, সরকারি ভবন এমনকি আবাসিক এলাকাতেও টার্গেট করছে। 
ইরানিদের ‘শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার’ আহ্বান জানান দেশটির সর্বোচ্চ নেতা। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, যদি শত্রু বুঝতে পারে যে আপনি তাদের ভয় পান, তা হলে তারা আপনাকে ছেড়ে দেবে না। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আপনারা যেভাবে লড়াই করছেন তা চালিয়ে যান। পুরো শক্তি নিয়ে এগিয়ে যান। 
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও একই সুরে কথা বলেন। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় তিনি সরকারের প্রতিটি অংশকে ‘ইরানের জন্য কাজ করার’ নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সব মন্ত্রণালয় এবং সরকারি সব এজেন্সিকে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি ও সম্পদ ব্যবহার করে ইরানের জন্য কাজ করতে হবে। কোনো কিছুর প্রতি বিমুখ না হয়ে ধৈর্যসহ কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। 
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, আল্লাহর কৃপায় এবং সহানুভূতি ও সংহতির সাহায্যে আমরা এই কঠিন দিনগুলো কাটিয়ে উঠব। ইরানে মার্কিন হস্তক্ষেপ নিয়ে ফের সতর্ক করলো রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইরান-ইসরাইল সংঘাতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ পরিবেশকে আরেকটি ভয়াবহ উত্তেজনার দিকে নিয়ে যাবে। এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া আলাদাভাবে দুই পক্ষকে সমর্থন করছে। 

ইরানের আরাক পারমাণবিক চুল্লি ও নাতাঞ্জসহ বিভিন্ন পারমাণবিক স্থাপনায় রাতভর হামলা চালায় ইসরাইল। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাকে এসব হামলার কথা জানিয়েছে ইরান। ইসরাইলের বিরুদ্ধে পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি আগ্রাসন অব্যাহত রাখার অভিযোগ করেছে দেশটি। তবে এই হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের কাছে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ এবং তাদের বিরুদ্ধে হামলার কথা ভাবলেও, মস্কো তেহরানকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবেই দেখে। এই বছরের শুরুতে, ভøাদিমির পুতিন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেন, যেখানে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধিতে আগ্রহের কথা জানিয়েছে দুই দেশ। ইরান মস্কোকে ‘শাহেদ ড্রোন’ সরবরাহ করেছে যা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

ইরানে ইসরাইলের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। তারা এই পদক্ষেপকে উস্কানিমূলক বলে উল্লেখ করে। এ ছাড়া ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা না দেওয়ার জন্য আমেরিকাকেও সতর্ক করেছেন রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ।
ইরান ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের ফোনালাপ হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই দুই বিশ্বনেতা কথা বলেন। চীনের প্রেসিডেন্ট এই সংঘাত নিরসনে ‘বড় শক্তিগুলোর’ প্রতি উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন। যা ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি পরোক্ষ বার্তা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফোনালাপে ইসরাইলের ইরানবিরোধী পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন দুই বিশ্ব নেতা। চলমান সংঘাতে পুতিন আবারও মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ না করেই শি জিনপিং বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে যেসব বড় শক্তির সংঘাতরত পক্ষগুলোর ওপর বিশেষ প্রভাব আছে তাদের উচিত পরিস্থিতি ঠান্ডা করার উদ্যোগ নেওয়া, উল্টোটা নয়। চীনের প্রেসিডেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতির জন্য ইরান ও ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান। 
ফোনালাপে পুতিনকে জিনপিং বলেন, সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলো বিশেষ করে ইসরাইল যত দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতিতে যাক যাতে পরিস্থিতি আরও না বেড়ে যায় এবং যুদ্ধ অন্য কোথাও ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো যায়।
যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক ॥ ইরান-ইসরাইল সংঘাতের মধ্যে ‘সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির’ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক। এ ছাড়া তুরস্ক ইরানের সঙ্গে সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি গোপন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, এরই মধ্যে তুরস্ক-ইরান সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ইরান থেকে তুরস্কে শরণার্থীদের ‘অস্বাভাবিক’ প্রবাহ দেখা যায়নি।
তুরস্ক স্থানীয়ভাবে বহুস্তর বিশিষ্ট উৎপাদিত রাডার ও অস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্য দিয়ে সমন্বিত বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করছে দেশটি; যেন সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রস্তুতি উচ্চ স্তরে রাখা যায়।
সূত্র আরও জানায়, ইরানে যখন ইসরাইল আক্রমণ শুরু করে, তখন তুরস্কের ‘দ্রুত আক্রমণে যেতে সক্ষম’ বিমানগুলো আকাশে টহল দিয়েছিল। কারণ, যদি ইসরাইলি যুদ্ধবিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, সঙ্গে সঙ্গে যেন জবাব দেওয়া যায়। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর তুরস্ক এখন পর্যন্ত সরাসরি জড়ায়নি। তবে আঙ্কারা আগেই জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে যে কোনো যুদ্ধ তাদের নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে সীমান্ত নজরদারি ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। চলমান উত্তেজনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। এই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
যুদ্ধবিমান সরিয়ে নিল যুক্তরাষ্ট্র ॥ ইরানের হামলার ভয়ে কাতার থেকে কিছু যুদ্ধবিমান এবং বাহরাইন থেকে যুদ্ধজাহাজ বুধবার সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, ইরান যদি কোনো হামলা চালায় তা হলে তাদের এই সামরিক সরঞ্জামগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্র এমন সময় তাদের এসব যুদ্ধযান সরিয়ে নিলো যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলা চালানোর ব্যাপারে পুরো বিশ্বকে ‘অন্ধকারে’ রেখেছেন। যুদ্ধবিমান সরানোর পাশাপাশি বৃহস্পতিবার কাতারের যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তাদের কর্মীদের আল উদাইদ বিমানঘাঁটিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ ছাড়া মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনাও দিয়েছে দূতাবাস। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যত ঘাঁটি আছে সেগুলোর মধ্যে আল উদাইদ সবচেয়ে বড়। এটি কাতারের রাজধানী দোহার অদূরে মরুভূমিতে অবস্থিত।