
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জরাজীর্ণ ভবনের ছাদের পলেস্তার ভেঙে পড়লো টেবিলের উপর। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অফিস সহকারি ও কম্পিউটার অপারেটর তমিজু রহমান। বুধবার বিকেলে অফিস চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অফিসের টেবিলসহ কিছু আসবাবপত্রের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।
এ ঘটনার পর দিন দেখা যায় ওই অফিসের অধিকাংশ কর্মকর্তা কর্মচারীরাই আতঙ্কিত অবস্থায় অফিস করছেন।
যুব উন্নয়ন অফিসের অফিস সহকারী তমিজুুর রহমান জানান বুধবার ১৮ জুন তিনি অফিসে তার টেবিলে বসে কাজ করছিলেন এমন সময় হঠাৎ করে ছাদের কিছু অংশ তার টেবিলের উপর বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে।
এ সময় তিনি ভয়ে রুম থেকে দৌড়ে রুমের বাইরে চলে আসে। রুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় ছাদের পলিস্টারের একটি অংশ তার হাতের মধ্যে পড়ে।
এতে তিনি বেশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ওই অফিসে গিয়ে দেখা যায় ওই বিল্ডিংয়ে মৎস্য,হিসাব রক্ষণ, সমাজসেবা মহিলা বিষয়ক দপ্তর, যুব উন্নয়ন,,সমবায় অফিস, খাদ্য অধিদপ্তরসহ মোট আটটি দপ্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আট দপ্তরের ৪৬ জন কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সবাই আতঙ্কিত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে।
বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মরত কর্মচারীরা জানান দীর্ঘদিন ধরে এই বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে। বিল্ডিংয়ের স্বায়ীত্বকালের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে যেকোনো মুহূর্তে এই বিল্ডিং ধ্বসে পড়ে ৮ টি দপ্তরের ৪৬জন লোকসহ সেবা নিতে আসা লোকজনের জীবনহানির ঘটনা ঘটতে পারে।
এছাড়াও উপজেলা পরিষদের পুরাতন ভবনের অবস্থায় জরাজীর্ণ থাকার কারণে ভবনের ছাদ ও গ্রেড ভীমের বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়েছে। এই ভবনের বারান্দার ছাদের নিচ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েকশো লোক ১৭ টি দপ্তরে যাতায়াত করে থাকেন। চলাচলরত সেবা গ্রহীতা সহ অন্যান্য লোকজন যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।
সমাজসেবা দপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী মুনছের আলী জানান পরিষদের পুরাতন ভবনের বারান্দার নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে ছাদের একটি বিশাল অংশের পলেস্তার সহ গ্রেড ভীমের অংশ তার সামনে ভেঙে পড়ে। এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় তিনি। তিনি উল্লেখ করেন খুব দ্রুত এই ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বাছেদ জানান তিনি আজ ১৯ জুন বৃহস্পতিবার কালিয়াকৈর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করেছি। এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে খুব দ্রুতই খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহমেদ জানান ছাদের পলেস্তার খুলে পড়েছে এ বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং ওই বিল্ডিং এ কর্মরত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের পক্ষ থেকে যাতে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করেন তারপর প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মুমু