
সংগৃহীত
বয়স বাড়া থামানো সম্ভব নয়, তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্য ধরে রাখা একেবারেই অসম্ভব নয়। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে "My Inner Creative" জানিয়েছে, দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ অভ্যাসই আমাদের বয়সের ছাপ আরও দ্রুত স্পষ্ট করে তোলে। এসব অভ্যাস ত্যাগ করে এবং কিছু স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন এনে দীর্ঘদিন পর্যন্ত চেহারায় তারুণ্য বজায় রাখা সম্ভব।
নিচে এমনই ৮টি ক্ষতিকর অভ্যাস তুলে ধরা হলো, যা ত্বক, চুল ও শরীরের সৌন্দর্যের জন্য মারাত্মক হতে পারে:
১. ত্বকের সঠিক যত্ন না নেওয়া
- রাতের শেষে মেকআপ না ধুয়ে ঘুমানো, নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ না করা, সানস্ক্রিন ব্যবহার না করাসহ আরও অনেক ছোট ছোট ভুলের কারণে ত্বক তার উজ্জ্বলতা হারায়। বয়সের সঙ্গে বলিরেখা ও কালো দাগ দেখা দেয়।
২. জাঙ্ক ফুড ও অতিরিক্ত চিনির খাদ্যাভ্যাস
- ফাস্ট ফুড, প্রসেসড খাবার এবং অতিরিক্ত চিনি ত্বকে ব্রণ, ফোলাভাব ও অকালে বয়স্ক দেখানোর কারণ হতে পারে। এই খাবারগুলো শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং কোলাজেন ক্ষয় করে।
৩. ঘুমের ঘাটতি
- প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে ত্বকে ক্লান্তির ছাপ পড়ে, চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল হয় এবং চুল ও ত্বকের কোষ পুনর্গঠনের কাজ ব্যাহত হয়।
৪. পানি কম খাওয়া
- শরীরে পানির ঘাটতি ত্বকে শুষ্কতা ও স্থবিরতা সৃষ্টি করে। এটি বলিরেখা তৈরি করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে।
৫. অতিরিক্ত মেকআপ
- দীর্ঘসময় ধরে ভারী মেকআপ ব্যবহার করলে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়, ব্রণ হতে পারে এবং ত্বক অকালে বয়সী দেখায় যেতে শুরু করে।
৬. স্বাস্থ্যকর চর্বি না খাওয়া
- বাদাম, মাছ ও অ্যাভোকাডোর মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে ভিটামিন A, D, E ও ওমেগা-৩ থাকে, যা ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৭. মানসিক চাপ বা স্ট্রেস
- চাপ ও উদ্বেগ কর্টিসল হরমোন বাড়ায়, যা ত্বকে বলিরেখা ও ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে। স্ট্রেস ত্বকের রং ও টোনেও প্রভাব ফেলে।
৮. ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল
- এই দুই অভ্যাস শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমিয়ে দেয়, কোলাজেন নষ্ট করে এবং ত্বক শুষ্ক ও মলিন করে তোলে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্য ধরে রাখতে চাইলে কেবল ত্বকের উপরে কিছু প্রোডাক্ট লাগানো যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন দৈনন্দিন জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন। নিয়মিত ঘুম, পুষ্টিকর খাদ্য, স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ, পর্যাপ্ত পানি পান ও ক্ষতিকর অভ্যাস পরিহার করলে আপনি বয়সের সঙ্গে আরও সুন্দর হয়ে উঠতে পারেন।
হ্যাপী