ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশে কোনো সিম কার্ড টানা ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন ব্যবহার না করলে সেটি বাতিল হয়ে যায়। অর্থাৎ নিরবচ্ছিন্নভাবে ১৫ মাস সিমে রিচার্জ না করলে বা সিমটি ব্যবহার না করলে তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়। অনেক সময় এমন সিমের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হলে, সেটি কীভাবে ফেরত পাওয়া সম্ভব — এ নিয়ে জানানো হলো বিস্তারিত।
বাতিল হওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়া সিমগুলো মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো পুনরায় রিসাইকেল করে নতুন গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে দেয়। তবে বাতিল হওয়া সিম ফেরত পাওয়ার দুটি উপায় রয়েছে।
প্রথম উপায়: সিম রিসাইকেল হয়নি — এমন অবস্থায় ফেরত পাওয়া
১. আপনার যে সিমটি বাতিল হয়েছে, সেই নম্বরে একটানা দুই-তিন দিন কল দিন।
২. যদি দেখতে পান “বন্ধ” দেখাচ্ছে বা কল যাচ্ছে না, তাহলে বুঝবেন সিমটি এখনো রিসাইকেল হয়নি বা নতুন গ্রাহকের কাছে বিক্রি হয়নি।
৩. এরপর আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নিয়ে সংশ্লিষ্ট সিম অপারেটরের কাছের কোনো কাস্টমার কেয়ারে চলে যান।
৪. কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে প্রতিনিধি বরাবর জানাবেন যে, আপনি সিমটি হারিয়ে ফেলেছিলেন বা ব্যবহার করতে পারেননি—এমন একটি যুক্তিযুক্ত কারণ দেখিয়ে ফেরত পেতে চান।
5. প্রতিনিধি আপনার NID নম্বর ও তথ্য যাচাই করবে এবং সব ঠিক থাকলে একটি অভিযোগ গ্রহণ করবে।
6. এরপর ১ ঘণ্টা থেকে ৭ দিনের মধ্যে সিমটি পুনরায় আপনার নামে রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হবে, যদি সেটি অন্য কেউ কিনে না থাকে।
এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত ২০০–৩০০ টাকার বিনিময়ে নতুন সিম আকারে পুরনো নম্বর ফেরত পাওয়া সম্ভব।
দ্বিতীয় উপায়: সিম রিসাইকেল হয়ে অন্যের নামে চলে গেছে
১. যদি সিমটি ইতোমধ্যে রিসাইকেল হয়ে নতুন কোনো গ্রাহকের নামে বিক্রি হয়ে যায়, তাহলে সেই নম্বরে ফোন করে বর্তমান ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
২. তিনি যদি নম্বরটি আপনাকে দিতে রাজি হন, তাহলে উভয়ের সম্মতিতে সিম হস্তান্তরের আবেদন করতে পারবেন।
৩. এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষকে উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে সিম ট্রান্সফারের আবেদন করতে হবে।
বি.দ্র.
সিম রিসাইকেল নীতিমালা অনুসারে অপারেটর কোম্পানিগুলোর হাতে নম্বর ফেরত দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। তবে মানবিক কিংবা অতীত গ্রাহকত্ব বিবেচনায় অনেক সময় সিম ফেরত দিয়ে থাকে।
ইমরান
