
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে সরিয়ে (হত্যা করে) জমানা বদলের কথা বলেছে ইসরায়েল। সরাসরি জমানা বদলের কথা না-বললেও খামেনির গোপন ডেরার কথা আমেরিকা জানে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহে রাশিয়া জানিয়ে দিল, ইরানে জমানা বদলের বিষয়ে সায় নেই তাদের।
শুক্রবার ‘স্কাই নিউজ়’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “ইরানে জামানা পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা অকল্পনীয়। এটা নিয়ে কথা বলাও সমর্থনযোগ্য নয়।” খামেনিকে হত্যা করলে ইরানে চরমপন্থা বাড়তে পারে বলেও সতর্ক করেছেন পেসকভ।
বৃহস্পতিবারই আমেরিকাকে সতর্ক করে রাশিয়া জানিয়েছিল, ইরানে হামলা চালালে তার পরিণাম ভয়ঙ্কর হবে। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘‘ওই ধরনের পদক্ষেপ করলে পুরো পরিস্থিতিই ঘেঁটে যেতে পারে।’’ তাতে পরমাণু যুদ্ধ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করে মস্কো। শুক্রবারও ইরানে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে আমেরিকাকে সতর্ক করেন রুশ মুখপাত্র পেসকভ। তবে ইরানে হামলা চালানো হলে রাশিয়া তার জবাব দেবে কি না, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি তিনি।
গত কয়েক দিন ধরেই খামেনেইকে হুমকি দিয়ে চলেছে আমেরিকা এবং ইসরায়েল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাবি, খামেনেইকে হত্যা করলেই যুদ্ধের অবসান হবে। ট্রাম্পও দাবি করেন, তিনি ইরানের ধর্মীয় নেতার গতিবিধি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। চাইলেই তাঁকে হত্যা করতে পারে আমেরিকা। কিন্তু ওয়াশিংটন এখনই তা করবে না। এই বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার পুতিনের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, তিনি কোনও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে চান না। উত্তরের জন্য জোরাজুরি করা হলে খানিক অনিচ্ছা নিয়েই পুতিন জানান, তিনিও শুনেছেন যে, খামেনেইকে হত্যার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চান না। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইরানের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সব জটিলতা সত্ত্বেও সে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের পক্ষেই গোটা সমাজ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।”
ফুয়াদ