আইআরজিসির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর খামেনির

ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে নতুন মোড় নিতে পারে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখতে এবার ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী-আইআরজিসির কাছে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা হস্তান্তর করলেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বর্তমানে তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লাভিজানের একটি গোপন বাঙ্কারে সপরিবারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে খামেনিকে। সঙ্গে তার প্রভাবশালী ছেলে মোজতবাও রয়েছেন। বলা হচ্ছে বৃহস্পতিবার ওই বাঙ্কারে বসেই সাময়িক ক্ষমতা হস্তান্তর করেন খামেনি।
এদিকে শুক্রবার ইসরাইলে একযোগে অন্তত ২৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এই হামলায় তেল আবিব, জেরুজালেম এবং হাইফাসহ বিভিন্ন স্থানে অনেকে আহত হয়েছেন।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে লেখেন, আমরা জানি ইরানের ‘সুপ্রিম লিডার’ কোথায় লুকিয়ে আছেন। তিনি সহজ টার্গেট, তবে আপাতত তাকে হত্যা করা হবে না। কিন্তু আমাদের ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই না বেসামরিক মানুষ বা আমেরিকান সৈন্যদের দিকে আর কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হোক। সম্ভবত এরপরই সপরিবারে বাঙ্কারে চলে যান খামেনি। শুক্রবারও ইরান-ইসরাইল একে অন্যকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রাখে। এতে উভয় পক্ষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ইসরাইলে মাইক্রোসফটের কার্যালয়ের সামনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেহরানে হাসপাতাল লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা করে ইসরাইল। একই দিন ইরানের একজন বিজ্ঞানীকে হত্যার দাবি
প্রথম পৃষ্ঠার পর) করে তেল আবিব। তবে এ বিষয়ে তেহরানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তেহরানের একটি হাসপাতালে ফের বোমা হামলা হয়েছে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান জানান, হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত এটা তৃতীয় হাসপাতাল, যা ইসরাইলি হামলার শিকার হলো। হামলায় ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
এদিকে কোনো প্রকার রাখঢাক না করেই এবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চাইলেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার প্রখ্যাত ইসরাইলি বিশ্লেষক গিডিওন লেভি এই তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ট্রাম্প কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে পারেন। এই ইঙ্গিতে নেতানিয়াহু ও তার জোট গভীর হতাশায় পড়েছে। কারণ নেতানিয়াহু চান, ট্রাম্প যেন দ্রুত যুদ্ধের যুদ্ধের ময়দানে নামেন। নেতানিয়াহুর এই সমালোচক বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত রণক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি দ্রুত রণাঙ্গনে ট্রাম্পকে নামাতে চাইছেন। খবর আলজাজিরা, বিবিসি, সিএনএন, পার্সটুডে, টাইমস অব ইসরাইল।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরাইল আগ্রাসন নিঃশর্তভাবে বন্ধ করলেই এ সংঘাত বন্ধ হবে। শুক্রবার এক পোস্টে পেজেশকিয়ান লেখেন, ‘আমরা সব সময় শান্তি ও স্থিতিশীলতা চেয়েছি। চলমান চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ অবসানের একমাত্র পথ হলো শত্রুর আগ্রাসন নিঃশর্তভাবে বন্ধ করা এবং জায়নিস্ট সন্ত্রাসীদের দুঃসাহসিক তৎপরতা চিরতরে বন্ধের সুনির্দিষ্ট নিশ্চয়তা। ইরানের প্রেসিডেন্ট তার হুঁশিয়ারিতে আরও বলেন,  ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর আগ্রাসন যদি থামানো না হয়, তাহলে ইরান আরও কঠোর জবাব দেবে। সেই জবাব এমন হবে, যা আগ্রাসনকারী এ দেশের ওপর হামলার জন্য অনুতপ্ত হতে বাধ্য হবে।
আইআরজিসির কাছে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা হস্তান্তর প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ক্ষমতা হস্তান্তরের এ পদক্ষেপ একটি সম্ভাব্য ‘প্রি-এম্পটিভ ট্রান্সফার অব অথরিটি’, যার মাধ্যমে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কমান্ড কাঠামো অক্ষুন্ন রাখা যাবে। যাতে খামেনি নিহত হলেও প্রতিরোধ না থামে। শুক্রবার ইসরাইলের মাইক্রোসফটের অফিসের সামনে হামলার পর ইরানের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা আরো বৃদ্ধির ঘোষণা দেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাজ। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এসব হামলার উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরান সরকারকে দুর্বল করে ফেলা।
তিনি বলেন, আমরা ইরানের শাসনব্যবস্থার সব প্রতীক ও জনগণের ওপর দমন-পীড়নের জড়িতদের, যেমন বাসিজ মিলিশিয়া এবং বিপ্লবি বাহিনীর মতো ক্ষমতার কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানব। এরপর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, ইসরাইল হামলা চালিয়ে গেলে তিনি কারও সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত নন। ইউরোপীয় দেশের নেতাদের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে অংশ নিতে জেনেভা রওনা হওয়ার আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে এ কথা বলেন আরাগচি। তিনি আরও বলেন, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে আমরা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি, তারপর অন্যান্য দেশ নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখবে বলেই আমার মনে হয়। জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শুক্রবার জেনেভায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা করতে যাচ্ছেন।
আলোচনা শুরুর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ কূটনীতিক কায়া কালাসের সঙ্গে জার্মানির স্থায়ী মিশনে একটি বৈঠক করবেন ইউরোপের ওই তিন মন্ত্রী। এরপর তারা একসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি। ওই বৈঠকের পর ল্যামি বলেন, আমার বিশ্বাস, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি কূটনৈতিক সমাধান অর্জনের সুযোগ আছে। ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুর ওপর পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী কড়া বার্তা দিলেও সামরিক বিশ্লেষকদের ধারণা, তেহরান এখনো তার নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে নামায়নি।
শুক্রবার ইসরাইলে একযোগে অন্তত ২৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এই হামলায় তেল আবিব, জেরুজালেম এবং হাইফাসহ বিভিন্ন স্থানে অনেকে আহত হয়েছেন। ইসরাইলের স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল-১২ বলেছে, ইরানের ছোড়া এবারের ক্ষেপণাস্ত্রের বহরে অন্তত ৩৯টি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে। তবে সে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, নতুন দফার হামলায় ইরান ২৫টির মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ইসরাইলের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বেশ কিছু ভবনের ক্ষয়ক্ষতি ও লোকজন আহত হয়েছেন।
পরমাণু স্থাপনায় হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন- সৌদি আরব ॥ এদিকে বেসামরিক পরমাণু স্থাপনায় সামরিক হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছে সৌদি আরবের পারমাণবিক ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রক কমিশন। বৃহস্পতিবার ইরানের একাধিক পরমাণু স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার পর এই মন্তব্য করেছে সৌদি আরব।
আল জাজিরা জানিয়েছে,  গত শুক্রবার হামলার শুরুর পর থেকে ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করেছে ইসরাইল। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ইরানের খোন্দাব হেভি ওয়াটার রিসার্চ রিঅ্যাক্টরের ওপরও হামলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, ইসরাইলের হামলায় ইরানের খোন্দাব হেভি ওয়াটার রিসার্চ রিঅ্যাক্টর স্থাপনার মূল ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, স্থাপনাটি নির্মাণাধীন হওয়ায় সেখানে কোনো ধরনের পারমাণবিক উপাদান ছিল না। যে কারণে সেখানে বিকিরণের কোনো ঝুঁকি নেই। এর আগে, ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জ এবং ভূগর্ভে অবস্থিত ফোরদো প্ল্যান্টেও হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী।
১৩ জুন বিনা উস্কানিতে ইরানের ওপর আগ্রাসী হামলা চালায় ইসরাইল। পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকার ওপর চালানো এ হামলায় নিহত হন ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ নাগরিক।
ইসরাইলের এ কর্মকা-ের জবাবে ইরানের সামরিক বাহিনী পাল্টা হামলা শুরু করে। শুক্রবার পর্যন্ত ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস থ্রি’র অংশ হিসেবে ইসরাইল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইরানের এসব হামলায় ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে একপ্রকার অকার্যকর করে ফেলেছে।
চলমান যুদ্ধে ইসরাইলে এই মুহূর্তে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ ইউরোপে চলে যাওয়ার জন্য সীমান্তে ভিড় করছেন। ইরানের হামলা শুরুর পর ৮ হাজারের বেশি ইসরাইলি ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি।  
এদিকে ইসরাইলের ধারাবাহিক বিমান হামলায় যখন ইরানের নিরাপত্তা কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত, তখনই ইরানের বিচ্ছিন্ন ও নির্বাসিত বিরোধী দলগুলো সরকারের পতন ঘটাতে গণআন্দোলনের ডাক দিচ্ছে। তবে যেসব অ্যাক্টিভিস্ট অতীতে তীব্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তারা এখনই রাস্তায় নামতে অনিচ্ছুক। তাদের ভাষায়, ইরান এখন বিদেশি হামলার শিকার এবং এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনগণের প্রধান চিন্তা হচ্ছে পরিবার, প্রতিবেশী এমনকি পোষা প্রাণীগুলোকেও রক্ষা করা।
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর সবচেয়ে দুর্বল অবস্থানে আছে ইরানের বর্তমান শাসনব্যবস্থা, এমন অভিমত অনেক বিশ্লেষকের। সেই বাস্তবতায় নির্বাসিত বিরোধীরা বলছেন, এই মুহূর্তটাই তাদের জন্য মোক্ষম সুযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ইরানের সাবেক শাহ রেজা পাহলভীর পুত্র রেজা পাহলভী বলেন, এটাই আমাদের ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমি রাজনৈতিক রূপান্তরের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। তিনি ইসলামী প্রজাতন্ত্র উৎখাতের পক্ষে সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা হিসেবে এই সময়কে বর্ণনা করেন।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুও ইরানীদের উদ্দেশে সরাসরি ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা শুধু হামলা করছি না, আপনাদের স্বাধীনতার পথও প্রশস্ত করছি।
তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে, ইরানের ভেতরে এই ডাক কতটা বাস্তবায়নযোগ্য? যে কোনো শাসনের বিরুদ্ধে সফল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে হলে জনতার ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আর তা আদৌ এখন সম্ভব কি না তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
সীমান্তবর্তী এলাকায় কুর্দি ও বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হয়ে উঠছে। এ প্রসঙ্গে ইরানে বাসিজ মিলিশিয়ার সদস্য মোহাম্মদ আমিন জানান, ইসরাইলি গুপ্তচরদের ধরতে এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে রক্ষা করতে তার ইউনিটকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে। ছয় বছর কারাভোগের পর দেশ ছেড়ে যাওয়া অধিকারকর্মী আতেনা দাইমি বলেন, এই অবস্থায় মানুষ কীভাবে রাস্তায় নামবে? এখন মানুষ শুধু নিজেদের ও পরিবারকে বাঁচানোর কথাই ভাবছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মদিও ইসরাইলি আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তেহরানের নির্দিষ্ট এলাকায় বাসিন্দাদের সরে যেতে ইসরাইলের ঘোষণার জবাবে তিনি লিখেছেন, আমার শহরকে ধ্বংস করো না।
২০২২ সালে মাশা আমিনির মৃত্যুর পর যে ব্যাপক গণআন্দোলন হয়েছিল তাতে অংশ নেওয়া এক ভার্সিটি শিক্ষার্থী বলেন, যুদ্ধ শেষ হলে আমরা আবার আওয়াজ তুলব। কারণ এই সরকারই সংঘাতের জন্য দায়ী। অপর এক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, আমি সরকার পরিবর্তনের পক্ষে। কিন্তু এখন রাস্তায় নামার সময় নয়। তিনি বহির্বিশ্ব থেকে আন্দোলনের ডাক দেওয়া নেতাদেরও অবিশ্বস্ত বলছেন। তার মতে, তাদের চিন্তা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে, ইরানের জনগণের নিয়ে নয়। নির্বাসিত বিরোধীদের মধ্যে নেতৃত্বের দ্বন্দ্বও স্পষ্ট। পাহলভীর নেতৃত্বে রাজতন্ত্রপন্থিদের বাইরে আরেক শক্তি হলো পিপলস মুজাহিদিন অর্গানাইজেশন অব ইরান, সংক্ষেপে এমইকে বা এমকেও।