ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

৯ মাসে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে গেছে আর এই সরকার ১০ মাসেও কিছু করতে পারছে না

প্রকাশিত: ০২:০১, ২১ জুন ২০২৫

৯ মাসে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে গেছে আর এই সরকার ১০ মাসেও কিছু করতে পারছে না

বর্তমান সরকারের ১০ মাস অতিবাহিত হলেও জনগণ কোনো সুফল দেখেনি, বরং প্রতিটি ক্ষেত্রেই চরম হতাশার শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অপরাজেয় বাংলাদেশ আয়োজিত যুব সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, “৯ মাসে একটা রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। আমরা একটা দেশ স্বাধীন করেছি। একটা নতুন সংবিধান রচনা করেছি। লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদ হওয়া, লক্ষ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হারিয়ে যাওয়ায় নয় মাসে আমরা ফলাফল অর্জন করেছি। ১০ মাসে প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী মায়ের গর্ভে আমরা জন্ম নিয়ে পৃথিবীতে এসেছি। ১০ মাস সময় লাগে। সেই ১০ মাসও প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আপনারা তেমন কিছু জনগণকে দেখাতে পারেননি। হতাশ করেছেন মানুষকে পদে পদে।”

তিনি আরও বলেন, “জিনিসপত্রের দাম কমে নাই, গ্যাসের সংকট অনেক বেশি হয়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েছে, পানি সরবরাহ আগের মতো পরিষ্কার নেই, বর্য ব্যবস্থাপনায়ও আপনারা ত্রুটি করেছেন। ডেঙ্গু, করোনা, গুনগুনিয়া ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। কোথায় আপনার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা? কোথায় তার কর্মতৎপরতা মানুষ দেখতে পাচ্ছে না।”

আলাল বলেন, “আমরা জনগণের পাশে আছি বলেই নির্বাচনের কথা বলি। নির্বাচনের কথা বললে আপনারা গোস্বা করেন। এই গোস্বা করাটা তো ঠিক না। একজন নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে মানুষ যখন তখন যেতে পারে, কৈফিয়ত চাইতে পারে। কিন্তু আজকে সেই সুযোগও জনগণের নেই। মাঝখানে দেয়াল তৈরি করে রেখেছে এই স্বৈরাচারের দোসররা।”

তিনি বলেন, “বাতাস কিন্তু নিজের জন্য নিজের অক্সিজেন গ্রহণ করার জন্য প্রবাহিত হয় না। নদী নিজের পানি খাওয়ার জন্য নয়, সমুদ্র নিজের পানি ধারণ করার জন্য নয়। সবকিছুই হয় মানুষের জন্য। এই সমস্ত উপমার সঙ্গে যদি মেলান তাহলে একটি মাত্র পরিবার বাংলাদেশে আছে, সেটা শহীদ জিয়া বীর উত্তমের পরিবার। বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার। যারা নিজের জন্য কিছু করেননি, সাধারণ মানুষের জন্য করে গেছেন।”

নির্বাচনের প্রসঙ্গে আলাল বলেন, “একটা নতুন প্রজন্ম ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪—এই তিনটি নির্বাচনে তাদের অধিকার প্রদর্শন করতে পারেনি। অধিকার পূরণ করতে পারেনি। তারা মুখিয়ে আছে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য। ওই বাতাসের মত, নদীর মত, চন্দ্রের মত, সূর্যের মত, সাগরের মত আমরাও বলতে চাই, তাদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যই আমরা নির্বাচনের কথা বলি।”

আফরোজা

×