
তিন কিশোর আনন্দে মগ্ন হয়ে গড়ে তুলছে বালির দুর্গ। মাঝখানে হাসিমুখে ছেলেটির উচ্ছ্বাস যেন পুরো দৃশ্যটিকে প্রাণবন্ত করে তুলেছে।
রাজশাহী নগরীর ফুলতলার পদ্মা নদীর পাড়ে দেখা মেলে এমন এক চিত্র, যা আধুনিক শহরের কোলাহলের মাঝে এক টুকরো নির্মল শৈশবের গল্প বলে।
নদীর ধারে বালুর চরে বসে তিন ছোট্ট শিশু গড়ে তুলছে তাদের কল্পনার রাজ্য। কেউ বালির দুর্গ বানাচ্ছে, কেউ আবার ছোট শামুক সাজিয়ে খেলছে নতুন কোনো খেলার ছকে। এদের চোখে মুখে যেন ধরা পড়েছে নিঃসীম আনন্দ আর নির্ভেজাল হাসি।
পেছনে নদীর শান্ত জলধারা, আর সামনে ছেলেবেলার অনন্ত সময়। মোবাইল, ভিডিও গেম কিংবা প্রযুক্তিনির্ভর খেলাধুলা যেখানে শহরের শিশুদের প্রিয় সময়খোর, সেখানে এই শিশুরা প্রকৃতির কোলে নিজেদের মতো করে খুঁজে নিচ্ছে আনন্দের ঠিকানা।
স্থানীয়রা জানায়, ছুটির দিনে কিংবা অবসরে এখনা ঘাটে এমন চিত্র প্রায়ই দেখা যায়। এই বালুচর যেন হয়ে উঠেছে শিশুদের এক প্রাকৃতিক খেলার মাঠ। তারা এখানে আসে দল বেঁধে—কে নিয়ে এল নতুন আইডিয়া, কে বানাবে সবচেয়ে উঁচু দুর্গ কিংবা কারটা সবচেয়ে সুন্দর, তা নিয়েই চলে নির্মল প্রতিযোগিতা।
এই দৃশ্য শুধু একটা মুহূর্ত নয়, বরং আমাদের সমাজে ছেলেবেলার হারিয়ে যাওয়া ছবির জীবন্ত প্রমাণ। যেখানে মাটি, বালি আর নদী ছিলো খেলার সঙ্গী, আর আকাশজোড়া স্বপ্ন ছিলো তাদের কল্পনার ডানা।
রাজশাহীর এই শিশুরা যেন আমাদের মনে করিয়ে দেয় শৈশব মানে কেবল খেলনা নয়, শৈশব মানে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া, হাসির মাঝে নিজের পৃথিবী গড়ে তোলা।
রাজু