ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

জ্যোৎস্নার অমানিশা

মুহাম্মদ আলমগির হোসেন

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ২০ জুন ২০২৫

জ্যোৎস্নার অমানিশা

দৈনিক জনকণ্ঠ

সবার দেহ ভারী পোষাকে আচ্ছন্ন থাকিলেও 
লাশের শরীরে মাংসটুকুও ছিল না
নিয়ন আলোর নিচে পরে থাকা লাশটি
শেয়াল কুকুর হায়েনা কাক মশা আর চিকারা মিলেমিশে খেয়েছে!
পাঁজরের হাড়গুলো তীর-ধনুকের  মতো
তরবারির মতো-
কাহাকে খুঁজিতেছে।

কাল রাতে,জ্যোৎস্নার অমানিশা রাতে
চৌরাস্তার ধারে লাশটি পড়েছিল।
সবার চেনা আবার চিনলনা কেহ
চোখের ইশারায় পরস্পরকে দেখাইয়া
উল্কার মতো নিমিষেই হারাইল!

প্রত্যুষে রবির আলো ঠিকই উঠিল
কিন্তু আলো দেখিবার চোখ কোথায়?
কঙ্কালের পাশে উর্ধাকাশে তাকিয়ে
ধর্মগুরু যবনিকায় বলেছিলেন-
ভালো মানুষের রক্ত মাংস খাইয়া
হিংস্র প্রাণী নির্ঘাত সভ্য হইয়া যাইবে।
ধর্মগুরু না বুঝিলেও বিধাতা ঠিকই বুঝিয়াছে।

অজ্ঞাত কঙ্কাল -অজ্ঞাত আসামীতে মামলা
লিঙ্গ ও ধর্মহীন কঙ্কালের সৎকার বেমালুম!
প্রতিশোধে মৃত আত্মা হিংস্র প্রাণীর কণ্ঠে গর্জে
যাহা অনন্ত কাল ঊর্ধ্বাকাশে জমে থাকা
বীভৎস চিৎকারের মিশ্র প্রকাশ!
দিগ্বিদিক ছুটছিল মানুষ যারা
শেয়াল কুকুর সাপ আর ইঁদুরের গর্ত
অতিক্ষুদ্র প্রথম বুঝিলো!

চারিদিকে হিংস্র প্রাণীর দুর্বোধ্য চিৎকার
তবুও দিন যায় রাত আসে
প্রবহমান অতীতের মতো।

হ্যাপী

×