
ছবি: জনকণ্ঠ
জ্বলন্ত আকাশের তলে হেঁটে যায় এক বিদ্রোহী,
গর্জে ওঠে বুকে তার ন্যায়ের গান, স্বাধীনতার রবি।
পদতলে কাঁপে মাটি, আকাশে বাজে বজ্রধ্বনি,
তলোয়ার আর সুরের মিলনে জাগে মুক্তির বাণী।
নীরবতার বুক চিরে শোনায় আর্ত আহ্বান,
"চাই অবিচল নূর, চাই অটল বিদ্রোহান।"
মেঘমালা গর্জে ওঠে বিদ্রোহী ঢোলের তালে,
সূর্যের সাথে নাচে শক্তি অগ্নিঝালে।
শঙ্খ বাজে বিরুদ্ধে ধাতব ঢোলের গান,
সুরের তরঙ্গে ভাসে কলুষিত অহংকার খান।
বৃষ্টি নয়, পড়ে কেবল আগুনের ধারা,
জলের বিপরীতে জ্বলে মুক্তির তারা।
বাংলা, ফারসি, আরবি সুরের সংগমে,
গান করে নীরবতার বিরুদ্ধে অগ্নি-রঙে।
অন্তরে বাজে বৈরাগ্য, বিষাদ, বিদ্রোহের স্বর,
মৃত্যু নয়—জীবনের অমুক্ত সুর।
তলোয়ার যখন সুর, বাঁশি যখন ঝঙ্কার,
মুক্তির হাসি ফোটে জন্মভূমির সাংকার।
ব্রহ্মাণ্ড জাগে তার পদধ্বনিতে প্রবল,
অশ্রু আর আগুন মিলে বাজে একতাল।
শেষে সে ডাকে উচ্চকণ্ঠে:
"যে হৃদয় জ্বলে না মুক্তির তাপে, সে হৃদয় থাকুক চির অন্ধকারে!"
সাব্বির