
ছবি: সংগৃহীত
গত আট দিনে ইরানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার মুখে ইসরায়েলের বিখ্যাত আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নজিরবিহীন চাপে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে—কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ডিফেন্স সিস্টেমকে ফাঁকি দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
ইরান বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) নতুন করে হাইফা ও তেলআভিভের সামরিক স্থাপনায় যৌথ মিসাইল-ড্রোন আক্রমণ চালানোর কথা স্বীকার করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালায় ইরান সংশ্লিষ্ট পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর। দক্ষিণ ইসরায়েলের সোরোকা হাসপাতালসহ অন্তত চারটি স্থান হামলার শিকার হয়।
NDTV-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আবিভি, যিনি বর্তমানে ইসরায়েল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ফোরামের প্রধান বলেন, “হ্যাঁ, আয়রন ডোম বর্তমানে চাপে আছে। কিন্তু এটি এখনো কার্যকর। পুরো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শুধু এটি না, এর সাথে রয়েছে Arrow 3 এবং আরও একাধিক স্তরের নিরাপত্তা।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন, দীর্ঘপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থামাতে প্রধানত Arrow 3 ব্যবহৃত হয়, যার সফলতা ৯০% এর বেশি বলে দাবি তার।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন—“কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শতভাগ নিরাপদ নয়। কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হয়তো ভেদ করবে, তখন নাগরিকদের বাংকারে চলে যাওয়া উচিত।”
জেনারেল আমির বলেন, আয়রন ডোম একা যুদ্ধ করছে না, বরং এটি একটি বৃহৎ ও সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ। ক্ষেপণাস্ত্র থামানোর পাশাপাশি ইসরায়েল ইরানের লঞ্চারগুলো ধ্বংস করতেও সফল হচ্ছে।
তার মতে, ইরান শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু ইসরায়েল ৪০% এর বেশি লঞ্চার ধ্বংস করে ফেলেছে, যার ফলে ইরানের হামলার সক্ষমতা কমে গেছে।
হোয়াইট হাউস বৃহস্পতিবার জানায়—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী দুই দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে জড়াবে কি না। তবে আলোচনার পথ এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
মুমু ২