ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে নারীদের এখনো ‘গায়ের চামড়া মোটা’ করতে হয়: ড. সায়মা ফেরদৌস

প্রকাশিত: ১৭:৫৩, ২০ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৭:৫৫, ২০ জুন ২০২৫

রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে নারীদের এখনো ‘গায়ের চামড়া মোটা’ করতে  হয়: ড. সায়মা ফেরদৌস

ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে নারীদের এখনো ‘গায়ের চামড়া মোটা’ করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘‘এটা কোনো সমাধান হতে পারে না। রাজনীতিতে অনেক প্রতিশ্রুতিশীল মানুষ ছিলেন, কিন্তু আজ তারা ঝরে পড়েছেন।’’

 

 

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

ড. সায়মা বলেন, ‘‘তীর্যক মন্তব্য করে একে অপরকে ঘায়েল করার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তা অত্যন্ত খারাপ প্রবণতা। এটি এক ধরনের অসভ্যতার পরিচায়ক। দুঃখজনক হলেও সত্য, সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকেই এই ‘ব্যাশিং কালচার’কে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’’

তিনি যুক্তি-তর্কের স্বাস্থ্যকর পরিবেশকে রাজনীতি ও সামাজিক পরিসরে অপরিহার্য হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘‘কখনো কখনো মেনে নেওয়া মানেই হেরে যাওয়া নয়। যুক্তিতে হেরে যাওয়া মানেই একজন মানুষ আরও জানতে ও শিখতে আগ্রহী হচ্ছে—এটাও এক ধরনের গ্রোথ। আমার কাছে যুক্তি না থাকলে আমি পড়াশোনা করে এসে যুক্তি তুলে ধরব। কিন্তু ‘হেরে যাব না’ এই মানসিকতা খুবই ক্ষতিকর।’’

সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে সম্মানবোধের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যুক্তি-তর্ক করব, কিন্তু তার পাশাপাশি একে অপরকে সম্মান করব। সম্মান ছাড়া যুক্তি অর্থহীন।’’

 

 

 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে মতামত দিতে গিয়ে ড. সায়মা ফেরদৌস বলেন, ‘‘আমি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সম্পূর্ণ বিপক্ষে। তবে তার মানে এই নয় যে কেউ যা খুশি তাই বলবে।’’

তিনি জানান, ডিজিটাল হয়রানি এখন এতটাই বেড়েছে যে, একজন শিক্ষক হয়েও তাকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমি এখন রাতে মোবাইল ফোন বন্ধ রাখতে বাধ্য হই। রাত ১২টার পর শুরু হয় নোংরা ফোন কল, প্রাঙ্ক কল। শিক্ষক হিসেবে অর্জিত সম্মানটুকু নিয়েও আজ আমাকে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে।’’

ছামিয়া

×