ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির প্রতিবাদ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮:০৬, ২০ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৮:০৮, ২০ জুন ২০২৫

মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির প্রতিবাদ

ছবিঃ সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কবির এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) জেলার সাবেক কয়েকজন নেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন বলেন, গতকাল (১৯ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় যে, গোপালগঞ্জের কয়েকজন কথিত নেতা তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন।

তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা, পৌরসভা, মুকসুদপুর ও কাশিয়ানীতে গঠিত কমিটিগুলো জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান এককভাবে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে গঠন করেছেন। অভিযোগকারীরা কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই এ ধরনের বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। অথচ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে ৪ জুন গোপালগঞ্জ দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কাজী আবুল খায়েরকে বিএনপির গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে তিনি যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। সদস্য সচিব না থাকায় আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, জেলায় সম্প্রতি গঠিত সকল কমিটি দলীয় নিয়ম-নীতি মেনে কাউন্সিলের মাধ্যমে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কের অনুমোদন নিয়ে গঠিত হয়েছে। যারা এ অভিযোগ করছেন, তারা বিগত ১৫ বছর ধরে দলের কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেননি বা কর্মীদের খোঁজখবর রাখেননি। বরং, তারা বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন এবং স্বৈরাচারী শক্তির কাছ থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর তারা আবার সুবিধা আদায়ের জন্য দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান বলেন, "যারা এ ধরনের অভিযোগ করছেন, তাদের বক্তব্যের কোনো ভিত্তি নেই। জেলায় গঠিত সকল কমিটি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অনুমোদনসহ জেলা কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়ে গঠন করা হয়েছে। যারা এ ধরনের অভিযোগ করছেন, তারা শুধুমাত্র দলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এ কাজ করছেন।"

তিনি দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক কথায় কান দিয়ে সময় নষ্ট না করে জনগণের পাশে থেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়োগ করুন।"

ইমরান

×