ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

ট্রাম্প-আসিম মুনিরের লাঞ্চের মাস্টারমাইন্ড কে এই সাজিদ তারার?

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ২০ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৮:১৫, ২০ জুন ২০২৫

ট্রাম্প-আসিম মুনিরের লাঞ্চের মাস্টারমাইন্ড কে এই সাজিদ তারার?

ছবি:সংগৃহীত

২০২৫ সালের ১৮ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ডেকে এক গুরত্বপূর্ণ লাঞ্চের আয়োজন করলেন। এটা ছিল এমন একটি ঘটনা, যা আগে কখনো হয়নি—মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে এমন সম্মান দেওয়া। এই বৈঠকের আয়োজন করেছেন সাজিদ তারার, একজন পাকিস্তান-আমেরিকান ব্যবসায়ী, যিনি দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় বসবাস করছেন।

সাজিদ তারার ‘আমেরিকান মুসলিম ফর ট্রাম্প’ নামের একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত এবং রিপাবলিকান দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন। তার ব্যক্তিগত জীবনে, তিনি বাল্টিমোরে একটি অলাভজনক সংস্থা ‘সেন্টার ফর সোশ্যাল চেঞ্জ’ পরিচালনা করেন এবং বিভিন্ন ব্যবসা ও বিনিয়োগের সঙ্গে যুক্ত।

ট্রাম্প এই লাঞ্চে আসিম মুনিরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ এড়ানোর জন্য। তিনি বলেন, “আমি তাকে এখানে ডেকে তার সেই ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ দিতে চেয়েছিলাম।” মিটিংয়ের সময় পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রধান আসিম মালিকও উপস্থিত ছিলেন।

গত ১০ মে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার পর যুদ্ধবিরতি হয়। এর পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে শান্তি আসে। এই সময়েই মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কী ভূমিকা নেবে তা নিয়েও আলোচনা চলছে।

পাকিস্তান ইসরাইলের ইরানের ওপর বিমান হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন মনে করে এবং এটা অঞ্চলের শান্তির জন্য বড় হুমকি বলে মনে করে। পাকিস্তান সরকারের মুখপাত্র শফকাত আলী খান বলেছেন, “ইরানে যা ঘটছে, সেটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তাই এখন ঝুঁকির মধ্যে।”

অপরদিকে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের লড়াই চলছেই। ইরান ইসরাইলের তেল আবিবসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে, যেখানে অনেক মানুষ আহত হয়েছে। ইসরাইলও ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা আক্রমণ করেছে।

ট্রাম্প এখনো বিশ্বাস করেন, এই সংকট কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা সম্ভব। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন, যুক্তরাষ্ট্র কি এই সংঘর্ষে সরাসরি যুক্ত হবে কিনা।

এই পরিস্থিতিতে সাজিদ তারারের মতো ব্যক্তিদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তিনি শুধু ব্যবসায়ী বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, বরং দুই দেশের মাঝে শান্তি আনার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকাও পালন করছেন।
 

মারিয়া

×