
ছবি: সংগৃহীত
কারাগার থেকে মাদক সম্পূর্ণ নির্মূল করা রাতারাতি সম্ভব নয়, তবে কারা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে কঠোরভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল।
শুক্রবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মাদকের সঙ্গে জড়িত জেল পুলিশ ও বন্দীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।”
কারা ব্যবস্থায় সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিটি স্তরে সংস্কারে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে কারাগারে কী কী পরিবর্তন প্রয়োজন, তা নির্ধারণে দেশের সব কারাগার পরিদর্শন করা হচ্ছে।”
বন্দীদের আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে জেল পুলিশের অঙ্গীকার ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথ’ স্মরণ করে তিনি বলেন, “এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সম্মিলিতভাবে কাজ চলছে। আশা করি, দ্রুত সংস্কার কাজ শেষ হবে এবং বন্দীদের জন্য আরও ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নরসিংদী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামিদের বিষয়ে তিনি বলেন, “সব পলাতককে এখনও ধরা সম্ভব হয়নি। তবে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ও পুলিশ তাদের ধরতে কাজ করছে। শিগগিরই সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের অবকাঠামো প্রসঙ্গে তিনি জানান, ১৮৭৫ সালে নির্মিত এই কারাগারটিতে এখনো বড় ধরনের সংস্কার হয়নি। কাঠামোগতভাবে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে পূর্ণ সংস্কার কাজ শুরু হবে।
পরিদর্শন শেষে যশোর কারাগারের বর্তমান ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন কর্নেল মোস্তফা কামাল।
আসিফ