
এই ঈদে মুক্তি পাওয়া আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত ‘এশা মার্ডার: কর্মফল’ সিনেমাটি নিয়ে দর্শকের আগ্রহ ও আলোচনার যেন শেষ নেই। মুক্তির ১২/ ১৩ দিন পরেও যেভাবে ছবিটি নিয়ে সরব দর্শকরা, তা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত ও কৃতজ্ঞ এই অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক অনলাইন সাক্ষাৎকারে সিনেমাটি ঘিরে নিজের অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন বাঁধন।
বাঁধনের মতে, সিনেমা মানেই শুধু একজন পুরুষকে হিরো বানিয়ে, ভায়োলেন্স আর ক্রাইম গ্লোরিফাই করে টাকা ইনকাম করার মাধ্যম হওয়া উচিত না। এ ধরনের একচোখা চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে সিনেমাকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ভাবার সময় এসেছে।
বাঁধন বলেন, বাংলাদেশি সিনেমায় নারীকেন্দ্রিক গল্প বলার সময় এসেছে। “রেহানা মারিয়াম নূর-এর সময় থেকেই আমি বলে আসছি, সমাজকে নতুন ধরনের গল্প দিতে হবে। এমন গল্প, যেটা মানুষ সাধারণত দেখে না, কিন্তু যা তাদের ভাবাতে পারে।”
তিনি বলেন, “আমি সবসময় চেয়েছি ইম্প্যাক্টফুল কিছু করতে। এমন একটি গল্প বলতে চেয়েছি যা মানুষের মনে থাকবে, এমন একটি চরিত্র নির্মাণ করতে চেয়েছি যা দর্শকের মনে ছাপ ফেলবে। ‘লিনা’ চরিত্রটি সেই জায়গা থেকে তৈরি হয়েছে, এবং আমি খুব আনন্দিত যে এটি মানুষের মনে দাগ কাটতে পেরেছে।"
অভিনেত্রী বলেন, “আমি একদিনে এই বাঁধন হয়ে উঠিনি। আমিও ভুল ধারণা নিয়ে বড় হয়েছি, কিন্তু সময়ের সঙ্গে নিজেকে পাল্টেছি। পরিবর্তন সম্ভব, যদি কেউ আন্তরিকভাবে চায়। আর আমি আশা করব, মিডিয়ার যাঁরা প্রগতিশীল, তাঁরা ভাববেন—সিনেমা শুধুই বিনোদন নয়, এটা সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ারও হতে পারে।”
সানজানা