ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

দোয়ারাবাজারে আ.লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-লুটপাটের অভিযোগ

মোঃ আক্তার হোসেন সুমন, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৮:২২, ২০ জুন ২০২৫

দোয়ারাবাজারে আ.লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-লুটপাটের অভিযোগ

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় পাওনা টাকা পরিশোধ করতে এসে হামলা, লুটপাট ও মারধরের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

গত রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে উপজেলার বোগলাবাজারের মতির পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার হয়েছেন বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের মোঃ সোলেমান মিয়া (৪৫)।

ঘটনার পরদিন সোমবার চার জনের নাম উল্লেখ করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ সোলেমান মিয়া। অভিযুক্তরা হলেন দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মশিউর মিয়ার ছেলে মোঃ জিয়া (৩০), বাপ্পারাজ মিয়া (২০), যুবরাজ মিয়া (২০) এবং পেকপাড়া গ্রামের মোঃ তোফাজ্জল মিয়ার ছেলে আবু তালিব (২৮)। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাওনাদার গরুর সেটের ব্যবসায়ী মোঃ এজাহার মিয়াকে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য ওই দিন টাকা নিয়ে বোগলাবাজার আসেন মোঃ সোলেমান মিয়া। বাজারের পাশে মতির পয়েন্টে ছায়াদ মিয়ার চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় ৭-৮ জনের একটি দল রড, লোহার পাইপ, লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা তাকে মারধর করতে করতে চায়ের দোকান থেকে পাশের ফাঁকা স্থানে নিয়ে যায় এবং প্রাণনাশের চেষ্টা করে। স্থানীয়দের চিৎকারে হামলাকারীরা ৫ লাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।

চায়ের দোকানদার ছায়াদ মিয়া বলেন, “সোলেমান মিয়া আমার দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ ৭-৮ জন এসে তাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। পরে তারা দোকানের বাইরে নিয়ে গেলে আশপাশের লোকজনের চিৎকারে তারা পালিয়ে যায়।”

মোঃ সোলেমান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিএনপির রাজনীতি করি, বর্তমানে বাংলাবাজার ইউনিয়নের কৃষকদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে আছি। হামলাকারীরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে। আমার সঙ্গে থাকা ৫ লাখ টাকা লুট করেছে এবং আমাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে।”

এ বিষয়ে পাওনাদার মোঃ এজাহার মিয়া বলেন, “সোলেমান আমাকে ৫ লাখ টাকা দিতে এসেছিলেন। চায়ের দোকানে বসে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় হামলাকারীরা তার ওপর চড়াও হয় এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীরা সবাই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোক।”

একাধিকবার চেষ্টা করে এবং হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে, প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইমরান

×