ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

লক্ষ্মীপুরে রাস্তায় গাছ রোপন ও গর্ত করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ

ফরহাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ২০ জুন ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে রাস্তায় গাছ রোপন ও গর্ত করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে গাছ রোপণ ও বেড়া দিয়ে বাড়ির চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শুধু বেড়া নয় মাটি কেটে একাধিক গর্ত করা হয় সড়কে। এতে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে ৩৫  পরিবার।
এদিকে, চলাচলের রাস্তা ফিরে পেতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা। সেখানে ৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভুক্তভোগী হাফিজ উল্লাহ অভিযোগটি দায়ের করেন।

তিনি সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের কাইজ্জালীপুর এলাকার মাইন উদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির মৃত আলী আহমেদের ছেলে। অভিযুক্তরা একই এলাকার মৃত ছেলামতের ছেলে মমিন উল্লাহ, মমিন উল্লাহ'র ছেলে মো. আজিম, মো. আরিফ হোসেন ও মো. রাকিব হোসেন। 

ভুক্তভোগী হাফিজ উল্লাহ  বলেন, ৭০ বছরের অধিক সময় ধরে রাস্তাটি দিয়ে বাড়িতে চলাচল করছি আমরা। কখনো মমিন উল্লাহরা বাঁধা দেয়নি। এখন হঠাৎ করে ৬ লাখ টাকা দাবি করছে। ওই টাকা না দেওয়ায় রাস্তাটি জোরপূর্বক বন্ধ করে দেয়। গাছের চারা রোপন, বেড়া এবং একাধিক গর্ত তৈরি করে। বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। 

অন্য ভুক্তভোগী ছালেহ আহমেদ বলেন, রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। জরুরি প্রয়োজনে অন্যের জমি দিয়ে হাটাচলা করছি। মমিন-আরিফরা আমাদের রাস্তায় গর্ত করে রেখেছে। এসবে বাঁধা দেওয়ায় আমাদের মারধরের চেষ্টা করে। বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। চাঁদাও দাবি করছে। 

অভিযুক্ত মমিম উল্লাহ'র ছেলে মো. আরিফ হোসেন বলেন, এই জমিটি আমাদের। হাফিজরা জোরপূর্বক রাস্তা তৈরি করে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চলাচল করছে। মানবিকতার কথা ভেবে, জমিটি (পথের) তাদের কাছে বিক্রি করতে চেয়েছি। কিন্তু তারা সেটি মানেনি। পূর্বের ন্যায় জোরপূর্বক চলাচল করতে চায়। তাছাড়া জমিটিতে আমরা ঘর নির্মাণ করবো। তাই বেড়া দিয়ে জমি পুনরুদ্ধার করেছিলাম। 

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দিয়েছি। আগামীকাল উভয়পক্ষকে উপজেলায় আসার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রাজু

আরো পড়ুন  

×