
ছবিঃ সংগৃহীত
বিগত সময়ে গণমাধ্যমগুলো স্বৈরাচারী শাসকের তেলবাজি করেছে। মূলধারার গণমাধ্যমের একটি অংশ জনগণকে ভুল তথ্য দিয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু গণমাধ্যম তাদের নৈতিকতা বজায় রেখেছে—এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
শুক্রবার (২০ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দুই দশকে পদার্পণ উপলক্ষে “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন ও সভাপতি ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে শহিদুল ইসলাম আরও বলেন, আজ যারা ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করে, তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে। তবে বড় মিডিয়াগুলোর অধিকাংশ সাংবাদিক ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখার জন্য তোষামোদ করে ভুল সংবাদ প্রকাশ করেছে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আগামীর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশা জানিয়ে এই সাংবাদিক নেতা বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক সাংবাদিক জীবন দিয়েছে। বাংলাদেশ গড়তে হলে দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।
তিনি বলেন, অতীতের সরকারের দুর্নীতির কারণে দেশ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছিল। বিগত পালিয়ে যাওয়া সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতিকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে আমাদের।
এছাড়া আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, জবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।
এদিন আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শহীদ চৌধুরী এ্যানি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নিজামুল হক নাঈম, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
ইমরান