ছবি: জনকণ্ঠ
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে "করোনার বিস্তার রোধে আমাদের করণীয়" শীর্ষক আলোচনা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
১৯ জুন (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অনুজীব বিজ্ঞানী ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, "জাতীয়ভাবে যে ১১টি পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে, সেই ১১টি পয়েন্ট অনুসরণ করলে আমরা করোনার বিস্তার থেকে রক্ষা পেতে পারি। যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক কম, তাই তারা সহজেই সংক্রমিত হতে পারেন। এছাড়া যাদের হাঁপানি, টিউবারকুলোসিস, ব্রংকাইটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রয়েছে, তাদের জন্য এই রোগটি অত্যন্ত ভয়ংকর হতে পারে। খাবারের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে খাওয়ার নিয়ম মেনে বিশেষ করে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার, লৌহ-সমৃদ্ধ খাবার, ডিম, দুধ, ডালিম, কমলা ও মাল্টার মতো সাইট্রাস ফল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে যাতে অ্যান্টিভাইরাল কার্যকারিতা ভালো থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আসাদ উদ দোলা'র সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. মাহবুব এলাহী। এছাড়া প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং বিভিন্ন হলের প্রভোস্টগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. মাহবুব এলাহী বলেন, "আমরা দেখেছি, বিগত সময়ে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুহার অনেক বেশি ছিল এবং ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করছি যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আবারও করোনা প্রকোপ আকার ধারণ করেছে। আমাদের দেশেও বিভিন্ন স্থানে ভাইরাসটি শনাক্ত হচ্ছে এবং কয়েকজন মৃত্যুবরণও করেছেন। তাই ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়ের উদ্যোগে নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলো যেন আমরা সঠিকভাবে পালন করি, কারণ বিগত সময়েই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র শিক্ষক এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, "করোনা মহামারি প্রতিরোধে আমাদের বিভিন্ন করণীয় রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দূরত্ব বজায় রাখা। এছাড়া রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার করা, রুম থেকে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরা। করোনার উপসর্গ যেমন কাশি, জ্বর দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা ভালোভাবে মেনে চলাও জরুরি।"
কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, "করোনা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় চীনের উহানে। তারপর থেকে সারা বিশ্বে এটি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই মহামারি অনেক প্রাণহানি ঘটিয়েছে। আগের ভ্যারিয়েন্ট থেকে এটি বেশি শক্তিশালী হওয়ায় আমাদের করণীয় আরও বেশি। এজন্য আমাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, ২০ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে হাত ধুতে হবে এবং সবসময় নিজের কাছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। এছাড়া প্রত্যেককে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।"
সাব্বির
