ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

অতিবৃষ্টিতে লোহাগড়া-নহাটা আঞ্চলিক সড়কে ধ্বস: দ্রুত সংস্কারে যান চলাচল স্বাভাবিক

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ২০ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৮:৪৩, ২০ জুন ২০২৫

অতিবৃষ্টিতে লোহাগড়া-নহাটা আঞ্চলিক সড়কে ধ্বস:  দ্রুত সংস্কারে যান চলাচল স্বাভাবিক

ছবিঃ জনকণ্ঠ

নড়াইল জেলার লোহাগড়া-নহাটা-মাগুরা আঞ্চলিক সড়ক জালালসী এলাকায় সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টির কারণে মারাত্মক ধ্বসের ঘটনা ঘটে। জালালসী ইবতেদায়ী মাদ্রাসার পাশের এই সড়কটি হঠাৎ ধ্বসে যাওয়ার ফলে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, সৃষ্টি হয় চরম দুর্ভোগ।

তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) দ্রুত পদক্ষেপে মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যেই সড়কটি পুনরায় চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। এর ফলে একদিকে যেমন যানবাহন চলাচল পুনরায় শুরু হয়, অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও কমে আসে।

জানা গেছে, জালালসী গ্রাম সংলগ্ন নবগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকার ভূপ্রকৃতি এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘদিনের অপরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, এবং নির্বিচারে ভারী যান চলাচল একত্রে এই ধ্বসের জন্য দায়ী বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

জালালসী গ্রামের বাসিন্দা শাহীন বলেন, “আমাদের এলাকাটি নদীর তীরে হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি পুরনো পাইপ স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু দিনের পর দিন বৃষ্টিতে সেই পাইপের পাশের মাটি ক্ষয় হতে হতে ভিতরে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়। একপর্যায়ে ভারী ট্রাক চলাচল করায় পুরো রাস্তাটি ধ্বসে যায়।”

আরেক বাসিন্দা প্রিন্স জানান, “সকালে রাস্তা ভেঙে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের অবগত করি। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, শ্রমিক এনে বালি, ইট ফেলে রাস্তার ওই অংশটি মেরামতের কাজ শুরু করেন।”

স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক মুক্তি প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই রাস্তাটি বন্ধ থাকলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, ব্যবসায়ী, রোগী এবং কৃষকদের চলাচলে বিপর্যয় নেমে আসতো। দ্রুত সংস্কার করায় আমরা অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছি।”

ধ্বসের ঘটনা ঘটার পরপরই নড়াইল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম নির্দেশ দেন দ্রুত সংস্কারের জন্য। সেই নির্দেশে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের নেতৃত্বে দ্রুততর সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হয়।

প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “আমরা সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাই। জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারকাজ চালিয়ে দুপুর আড়াইটার মধ্যে রাস্তার চলাচলযোগ্যতা নিশ্চিত করি। আমাদের দল তৎপর থাকায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে স্থানীয়রা।”

এই আঞ্চলিক সড়কটি শুধু লোহাগড়াবাসীর জন্য নয়, বরং মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার একটি বড় অংশ এবং নলদী ইউনিয়নের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবেও বিবেচিত। নলদী বাজার, স্কুল-কলেজ, কৃষিপণ্য পরিবহন ও ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে এই সড়কটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
 

আলীম

×