ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

সাহিত্য

সাহিত্য বিভাগের সব খবর

পথের দিশারী

পথের দিশারী

তুমি যদি জানতে  কীভাবে ঐ অন্ধকার কাটে সূর্য ওঠার আগে?  তাহলে তোমাকে রোজ রোজ পাওয়া যেত  ফজরের জামায়াতে। আর তুমি তা জানবে কিভাবে?  এশার পড়ে তাহাজ্জুদের অ্যালার্ম রেখে  ঘুমাও যদি  ঐ মালিকই তোমার আশায় থাকে, জানো কি? যিনি ঘোর অন্ধকারে আলোর রেখা ছাড়ে। তোমার দুটি হাত  আবছা আলোয় তুমি যেরূপ দেখো  মহান রব তার চেয়ে ভালো দেখে। তোমায় মৃদু কান্না তোমার কান অবদি না পৌঁছাতেই আর রহিমের কাছে পৌঁছে,  তুমি তা জানো কি?  তাঁর চেয়ে আপন ও কাছের কাউকে পাও কি? ভোর ফোঁটার আগে! অনুভব করো কি!  তীব্র গরমে এক চিলতে শীতলতা যা ঐ আর রহমানের ই অনুগ্রহ মাত্র।  মাগরিবের পড়ন্ত সূর্য নিয়ে তোমায় ভাবতে হয় কি?  তা আবার কাল সকালে   ঝুলিয়ে দিবে কে?  ভেবেছো কি যদি তা আর না আসে ফিরে! তবে কেমন হবে সে রাতের দীর্ঘসূত্রতা?  তবুও সেঁই মহাসত্ত্বার পবিত্রতা ঘোষণা দিবে না?  তা সত্ত্বেও তোমার মন নত হয় না বিনয়ে, অসহায়ত্বে?  তুমি ভাবো না রাতের বিশ্রাম কে করল এত শান্তিময়? কার নির্দেশে প্রাণগুলো রাতকে করেছে আশ্রয়?   আর যদি কাল থেকে কখনো দিন না আসে। ভাবো কি মহাশক্তিধর সব ভুলে যাবেন তোমার এতদিনের বিরাগভাজন!  নিমিষে তুমি ক্ষমা চাইলে পাবে তার অমিয় তৃপ্তি?   তুমি কি ডাক শুনো নি পঞ্চ দিককার?   পশ্চিমে,পুবে,মধ্যম,শুরু ও শেষ  শেষ এ! তোমাকে কানে কালা করা হয়েছিলো কি?  তুমি কি পড়তে জানতে না? পারতে না কথা বলতে?