
জমিদার সাহেব
রংচটা চায়ের কাপ হাতে,
জমিদার সাহেব ঝুল বারান্দায় একা,
পুরনো চেয়ারে বসেন,
যাতে বাঘের আল্পনা আঁকা।
স্মৃতিরা এসে জাপটে ধরে,
কত রং জীবনের, কত ঢং, জানা আছে তার!
এই জমিদার বাড়ি, সটান দাঁড়ানো থাকত পাইক-পেয়াদা,
পাশে ওই সদর দরজার!
পাশের কাঁচারি ঘরে,
ধন-রত্নের খাজাঞ্চি ব্যস্ত রাত-দিন!
প্রজারা কূর্ণিশ করে যেত!
এই ঝুল বারন্দার দিকে, স্মৃতিতে এখনো অমলিন!
জমিদার সাহেব পায়চারি করতেন,
পাইক-পেয়াদা চাবুক পেটা করত, কত অবাধ্য প্রজা,
আজও বাতাসে ভাসছে যেন!
কত চিৎকার, কত বাহারি সাজা!
কি অদ্ভুদ! বারান্দার পাশে চাবুকটি ঝুলছে আজও!
কিন্তু কোথাও নেই কেউ! শূণ্য খেরোখাতা!
পুরনো জমিদারবাড়িতে আজ হাহাকার,
পলেস্তরা খুলে পড়া দেয়ালে শুধুই শূণ্যতা।
জমিদার সাহেব আজ বেজায় অপ্রাসঙ্গিক!
চারপাশে ঘৃণা, বাতাসে বাতাসে ঘৃণা, দেয়ালে, দেয়ালে,
বর্ণিল স্মৃতিরা আজও তবু জাপটে ধরে,
প্রকৃতির কি অদ্ভুদ খেয়ালে!
নয়ন আসাদ, সাংবাদিক ও লেখক
তাসমিম