ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২

পথের দিশারী

মোসাঃ তানজিলা

প্রকাশিত: ০৯:২২, ২৯ জুন ২০২৫; আপডেট: ০৯:২৮, ২৯ জুন ২০২৫

পথের দিশারী

ছবি: Md Sabbir/ প্রতীকী ছবি

তুমি যদি জানতে 
কীভাবে ঐ অন্ধকার কাটে সূর্য ওঠার আগে? 
তাহলে তোমাকে রোজ রোজ পাওয়া যেত 
ফজরের জামায়াতে।
আর তুমি তা জানবে কিভাবে? 
এশার পড়ে তাহাজ্জুদের অ্যালার্ম রেখে
 ঘুমাও যদি 
ঐ মালিকই তোমার আশায় থাকে,
জানো কি?
যিনি ঘোর অন্ধকারে আলোর রেখা ছাড়ে।
তোমার দুটি হাত
 আবছা আলোয় তুমি যেরূপ দেখো 
মহান রব তার চেয়ে ভালো দেখে।
তোমায় মৃদু কান্না তোমার কান অবদি না পৌঁছাতেই আর রহিমের কাছে পৌঁছে,  তুমি তা জানো কি? 
তাঁর চেয়ে আপন ও কাছের কাউকে পাও কি?
ভোর ফোঁটার আগে!
অনুভব করো কি! 
তীব্র গরমে এক চিলতে শীতলতা
যা ঐ আর রহমানের ই অনুগ্রহ মাত্র। 
মাগরিবের পড়ন্ত সূর্য নিয়ে তোমায় ভাবতে হয় কি? 
তা আবার কাল সকালে   ঝুলিয়ে দিবে কে? 
ভেবেছো কি যদি তা আর না আসে ফিরে!
তবে কেমন হবে সে রাতের দীর্ঘসূত্রতা?
 তবুও সেঁই মহাসত্ত্বার পবিত্রতা ঘোষণা দিবে না? 
তা সত্ত্বেও তোমার মন নত হয় না বিনয়ে, অসহায়ত্বে? 
তুমি ভাবো না রাতের বিশ্রাম কে করল এত শান্তিময়?
কার নির্দেশে প্রাণগুলো রাতকে করেছে আশ্রয়?  
আর যদি কাল থেকে কখনো দিন না আসে।
ভাবো কি মহাশক্তিধর সব ভুলে যাবেন তোমার এতদিনের বিরাগভাজন! 
নিমিষে তুমি ক্ষমা চাইলে পাবে তার অমিয় তৃপ্তি?  
তুমি কি ডাক শুনো নি পঞ্চ দিককার?  
পশ্চিমে,পুবে,মধ্যম,শুরু ও শেষ 
শেষ এ!
তোমাকে কানে কালা করা হয়েছিলো কি? 
তুমি কি পড়তে জানতে না? পারতে না কথা বলতে? 

দাঁড়াতে শিক্ষা দেয়া হয়েছিলো কেন জানো? 
তুমি দাঁড়াবে প্রভুর নামে কেরাত পাঠে।
তুমি দোয়া করবে দু-হাত তুলে
তুমি খুঁজবে অন্তরপথ শান্তি 
তুমি জিকিরে মশগুল হবে সর্বপ্রত্যঙ্গে, সর্বসময়ে। 
আর বলবে হে দয়াময়,
এসব তুঁমি মোটেও অনর্থক সৃষ্টি করোনি। 
আমি পথভোলা, তুঁমি দাও  দাও আমায় 
পথের দিশারি।

-মোসাঃ তানজিলা, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা

সাব্বির

×