
ছবিঃ সংগৃহীত
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ও প্রদাহজনিত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে পায়ের বুড়ো আঙুলের গাঁটে ফুলে ওঠা ও তীব্র যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিলে, গাউট বা গেঁটে বাতের সম্ভাবনা বাড়ে। এই সমস্যাটি শুধুমাত্র বয়সজনিত নয়—বর্তমানে অনেক কমবয়সিরাও ভুগছেন এই প্রদাহজনিত আর্থ্রাইটিসে।
গাউট কীভাবে হয়?
আমেরিকার *ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আর্থ্রারাইটিস অ্যান্ড মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিজিজ* জানিয়েছে, শরীরে ইউরিক অ্যাসিড থেকে তৈরি ইউরেট নামক এক ধরনের নুন যখন স্ফটিকের আকারে অস্থিসন্ধির চারপাশে জমতে থাকে, তখন সেখানে প্রদাহ তৈরি হয়। এর থেকেই জন্ম নেয় ব্যথা ও ফোলাভাব।
কীভাবে বুঝবেন শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ছে? নিচের লক্ষণগুলো নজরে রাখুন:
১. অস্থিসন্ধিতে ব্যথা
হাত-পা বা হাঁটুতে ব্যথা লেগে থাকলে, এবং সেটা সহজে না সারলে রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি। এটি ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
২. প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন
ঘোলাটে বা গাঢ় রঙের প্রস্রাব ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে।
৩. কিডনিতে প্রভাব
ইউরিক অ্যাসিড কিডনিতে জমে পাথরের সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে কোমর, পেট বা পিঠের পাশে ব্যথা হতে পারে। কখনও তা কিডনি স্টোনের মতো জটিলতায় রূপ নিতে পারে।
৪. উচ্চ রক্তচাপ, জ্বর ও ক্লান্তি
ইউরিক অ্যাসিড অত্যধিক বেড়ে গেলে উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস, রক্তনালীর ক্ষতি, এমনকি জ্বর ও অবসাদজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫. ত্বকের সমস্যাও হতে পারে লক্ষণ
ত্বকে শুষ্কতা, চুলকানি, র্যাশ, লালচে ভাব ও চামড়া উঠার মতো উপসর্গও ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির ফল হতে পারে।
কী করবেন?
শরীরে এই উপসর্গগুলোর যেকোনো একটি বা একাধিক দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং রক্তের ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করান। নিয়মিত শরীরচর্চা, কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত জল পান—এই অভ্যাসগুলো আপনাকে গাঁটের বাতের মতো জটিলতা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।
মুমু