
জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য প্রতিদিনের হাঁটা বা হালকা দৌড় কেবল শারীরিক সুস্থতার জন্য নয়, বরং মানসিক সতেজতা ও স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার জন্যও অত্যন্ত কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ব্যায়াম মস্তিষ্কের কোষে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে নিউরন গঠনে সহায়তা করে এবং বার্ধক্যজনিত মানসিক অবক্ষয় ধীর করে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে ১০ টা বৈজ্ঞানিক উপকার তুলে ধরা হয়েছে যা বয়োজ্যেষ্ঠ বা যেকোনো বয়সের মানুষের জন্যই প্রযোজ্য :
১. মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি
নিয়মিত হাঁটা ও দৌড়ে মস্তিষ্কে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বর্ধিত হয়ে, স্নায়ুকোষ ভালোভাবে কাজ করে ।
২. নিউরন বৃদ্ধি
এই ধরনের শারীরিক ব্যায়ামে BDNF নামক প্রোটিন নিঃসরণ হয়, যা নতুন মস্তিষ্ক কোষ সৃষ্টি এবং সংযোগ বৃদ্ধি করে
৩. স্মৃতিশক্তি উন্নতি
হিপ্পোক্যাম্পাস—যা স্মৃতি গঠনের কেন্দ্রে অবস্থিত—হার্ডি চলাফেরার মাধ্যমে শক্তিশালী হয় ।
৪. ফোলাভাব হ্রাস
হাঁটা-দৌড় জ্বালন করে শরীরে প্রদাহ কমায়, যা ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের বার্ধক্য রোধ করে ।
৫. মেজাজ ভালো রাখে
সরটোনিন ও ডোপামিন বাহিত হয় ব্যায়ামের মাধ্যমে, মস্তিষ্ক-মানসিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ।
৬. ডিমেনশিয়া থেকে রক্ষা
অধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন তাদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে ।
৭. ঘুমের গুণমান বৃদ্ধি
দৈনন্দিন আন্দোলন ঘুমের ধরনকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা ব্রেনের পুনরুজ্জীবনের জন্য উপকারী ।
৮. মনোযোগে ধার
দীর্ঘ সময় জটিল কাজে মনোযোগ ধরে রাখাতেও শারীরিক প্রাকটিস সাহায্য করে ।
৯. মানসিক চাপ মোকাবেলা
ব্যায়ামে কর্টিসল (চাপ-হরমোন) কমে যায় যা স্নায়ু-ফাংশনে সহায়তা করে ।
১০. মস্তিষ্কের আয়তনের হ্রাস রোধ
বয়সের সাথে যেভাবে মস্তিষ্ক ছোট হতে শুরু করে, হাঁটা-দৌড় তা করা ধীরে করে ।
সানজানা