“বাবা চাইতেন ব্যবসায়, আমি গেলাম সিনেমায়” — রাশমিকার অপ্রত্যাশিত যাত্রা

'উই দ্য উইমেন'-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে নিজের জীবন ও ক্যারিয়ারের শুরু নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন বলিউড অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। তিনি জানান, তাঁর বেড়ে ওঠার সময় অভিনয়কে কখনোই সম্ভাব্য ক্যারিয়ার হিসেবে দেখা হতো না।

রাশমিকা বলেন, “বাবা চাইতেন আমি তাঁর ব্যবসায় যোগ দিই।”

সাংবাদিকতা, মনোবিজ্ঞান এবং ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর মিডিয়ার দুনিয়ায় তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়। রাশমিকা বলেন, “জার্নালিজমের পথেও গেলে ভালোই লাগত।” তবে তাঁর বাবা মেয়ের জন্য একেবারে ভিন্ন এক ভবিষ্যতের কথা ভাবতেন—তিনি চেয়েছিলেন রাশমিকা পারিবারিক ব্যবসায় কাজ করুক। দক্ষিণ ভারতের একটি প্রথাগত পরিবারে বেড়ে ওঠা রাশমিকার জন্য সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে আসার চিন্তা তখন একরকম ‘নিষিদ্ধ’ই ছিল।

নিজের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে রাশমিকা বলেন, “আমার মনে হয়, অন্তত আমাদের সময় দক্ষিণী পরিবারগুলোতে সিনেমায় কাজ করাকে ভুল হিসেবে ধরা হতো। তাঁরা জানতেনই না এই জগতটা কীভাবে চলে।”

রাশমিকা জানান, ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র সন্তান, পরে তাঁর ছোট বোনের জন্ম হয়। ফলে তিনি ছিলেন বাবা-মায়ের অতি আদরের। “তাঁরা আমাকে নিয়ে খুবই পজেসিভ ছিলেন, অতিরিক্ত সুরক্ষার চাদরে রাখতেন,” স্মিত হেসে বলেন রাশমিকা।

তবে পরিবারের আশঙ্কা ও সমাজের প্রতিক্রিয়াকে উপেক্ষা করে তিনি নিজের ডাকে সাড়া দিয়ে অভিনয়ে নাম লেখান। রাশমিকা বলেন, “আমাদের সম্প্রদায় থেকে আগে কেউ কখনো সিনেমায় আসেনি। তাই আমার প্রথম পারিশ্রমিক পাওয়ার পরের কথাবার্তাগুলো খুব একটা সহজ ছিল না। অনেকেই ছিল সন্দেহপ্রবণ।”

“কিন্তু যাঁরা আমাকে পাশে ছিলেন, তাঁদের কারণেই আজ আমি এখানে,” কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

এ বছর রাশমিকার হাতে রয়েছে একাধিক বড় প্রজেক্ট। সদ্য মুক্তি পেয়েছে পরিচালক শেখর কাম্মুলা নির্মিত Kuberaa, যেখানে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ধানুশ ও নাগার্জুনা। ২০ জুন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। পাশাপাশি, তাঁর আসন্ন দুটি সিনেমা Thama ও The Girlfriend, যা রাশমিকার অভিনয়ের বহুমাত্রিকতা প্রকাশ করবে বিভিন্ন ঘরানার চরিত্রে।