
দীর্ঘদিন ধরে দখল ও দূষণে মৃতপ্রায় হয়ে পড়া ঐতিহ্যবাহী আড়িয়ল খাল উদ্ধারে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে খাল রক্ষার দাবিতে স্থানীয়দের আন্দোলন ও সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর মঙ্গলবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় খাল পরিদর্শন করেন টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রকিবুল ইসলাম।
এ সময় উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার এবং আড়িয়ল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ সেলিমও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা আড়িয়ল খালের বিভিন্ন সংযোগমুখ ও ভরাটকৃত অংশগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আড়িয়ল খালের সঙ্গে পদ্মা নদীর পুনরায় সংযোগ স্থাপনের জন্য খালের ভরাট হওয়া সংযোগমুখ চিহ্নিতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে সকল অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে খুব দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা জানান, আড়িয়ল খাল এক সময় কৃষি, সেচ ও নৌচলাচলের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল। এখন দখল ও বালুর স্তূপে প্রায় হারিয়ে গেছে খালটির অস্তিত্ব। খালটি বাঁচাতে তারা বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও এতদিন ছিল নিস্তব্ধতা।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “আজ ইউএনও সাহেবকে দেখাতে পেরে মনে হলো, হয়তো এবার কিছু হবে।” এখন দেখার বিষয় এই পরিদর্শন কেবল আনুষ্ঠানিকতা হয়ে থাকে, না-কি আড়িয়ল খাল সত্যিই ফিরে পায় তার প্রবাহ, প্রাণ ও সম্মান।
আঁখি