
ছবি: সংগৃহীত
নিষ্প্রভ অলোকপ্রভায় জন্মভূমির অন্তঃস্থলে,
স্মৃতির শূন্যস্তব্ধ ছায়াচিত্রে উদ্ভাসিত একাকিত্ব—
নির্বাক মাতৃহীন শৈশব, বেদনাতুর বর্ণহীন চেতনায়
আত্মার অপ্রকাশ্য স্পন্দনে শিহরিত মৌনতাজন্ম।
বিধাতার ব্যবচ্ছেদে গঠিত পরিবাররথে
আমি কেবল চক্রচ্যুত সঞ্চারী এক আত্মানুভব।
নির্বিকার সৎ মাতার বিষাদবাক্যে স্তব্ধ গৃহস্বরা,
সংসার-সেতুর প্রান্তে দাঁড়িয়ে বিবশতা হয়ে উঠি চরিত্র।
সংসারধর্মে অভিযোজিত দেহের ভারে ক্লান্ত প্রাণ,
তবু অন্তঃপ্রবাহিত কলমে ধাবমান অন্বেষা—
“ক্ষমতার পথে এক পথিক”, এক মনোলিপি,
যেখানে শব্দ নয়, শব্দের অন্তর্গত নিরুপায়তা প্রকাশ পায়।
পিতা—যিনি হওয়া কথা ছিল আশ্রয়বৃক্ষ,
তিনিও ব্যস্ত পণ্যের হিসাব-নিকাশে,
আমার অভাব, আমার নৈঃশব্দ্য, আমার প্রার্থনা—
বিলীন হয় দৃষ্টির উপেক্ষায়, কণ্ঠের নিস্পৃহতায়।
তবু আমি লিখি।
আমি সৃষ্টির শূন্য ক্যানভাসে বিস্তার করি ব্যথার রঙ,
আমার অক্ষমতা আমার ভাষা নয়—
আমার দহন, আমার দীপ।
লেখক: হাসিবুর রহমান স্বাধীন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, পটুয়াখালী, গলাচিপা
নোভা