ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

কাপাসিয়ায় এনসিপির উঠান বৈঠক

স্টাফ রিপোটার

প্রকাশিত: ১৩:২৩, ২০ জুন ২০২৫

কাপাসিয়ায় এনসিপির উঠান বৈঠক

ছবি: জনকণ্ঠ

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বলখেলাবাজার এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কাপাসিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে উঠান বৈঠক। স্থানীয় ঝষি বাড়ি গ্রামে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রবিদাস সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাছের খান বৈঠকে সরাসরি উপস্থিত থেকে কৃষক, শ্রমজীবী ও যুবকদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবিদাওয়া শোনেন। আলোচনায় উঠে আসে তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন, কৃষকদের সহায়তা, স্থানীয় অবকাঠামো উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

বৈঠকের পাশাপাশি আলী নাছের খান এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে রবিদাস পাড়ায় একটি নতুন মন্দির নির্মাণে সরকারি বরাদ্দের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এলাকাবাসীর অংশগ্রহণ ও দাবি অনুযায়ী তিনটি মসজিদ এবং একটি মন্দিরের জন্য সরকারি সহায়তা ইতোমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, বহুদিন ধরেই মন্দির নির্মাণের দাবি জানানো হচ্ছিল, কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এনসিপির এই উদ্যোগে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বৈঠকে আলী নাছের খান বলেন, “আমরা কোনো রাজনৈতিক হানাহানি চাই না। কারা ভালো, কারা মন্দ—সেটা বলার চেয়ে আমরা নিজের কথা, জনগণের কথা বলতে চাই। জাতীয় নাগরিক পার্টি এই দেশ পরিবর্তনের পথে কী করতে চায়, জনগণের উন্নতিতে কী ভূমিকা রাখতে চায়—সেই কথা আমরা সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলি, এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলি। এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করে তার বাস্তবসম্মত সমাধানে কাজ করতে চাই। ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে কাপাসিয়া হবে একটি কৃষিনির্ভর শিল্পোন্নত এলাকা। এটি হবে একটি আধুনিক, সুন্দর এবং বাসযোগ্য শহর। আমরা এখানে তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চাই।

পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়কে এগিয়ে নিতে সরকারের পক্ষ থেকে যেন সঠিকভাবে বরাদ্দ পৌঁছায়, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। একই সঙ্গে আমি আহ্বান জানাই—সব রাজনৈতিক দল ও সচেতন মানুষদের, চলুন আমরা কাপাসিয়ার স্বার্থে এক হই। রাজনৈতিক বিভাজন নয়, এই এলাকার উন্নয়নে সবাই যেন একই সুরে কথা বলি এবং একসঙ্গে কাজ করি।”

বৈঠকে আলী নাছের খান আরও বলেন, “জনগণের দাবি বাস্তবায়নে মাঠে থেকেই কাজ করতে হবে। শুধু কথায় নয়, প্রমাণ দিতে হয় কাজে।”

স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে নেতৃবৃন্দ জানান, এনসিপির এ ধরনের তৃণমূলভিত্তিক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। বলখেলাবাজার অঞ্চলে এনসিপির এই পদক্ষেপ জনমনে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

মুমু ২

×