ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

ফোনের ডাটা ও ব্যাটারি বাঁচাবেন যে উপায়ে

প্রকাশিত: ২০:৫৯, ২০ জুন ২০২৫

ফোনের ডাটা ও ব্যাটারি বাঁচাবেন যে উপায়ে

.

ভ্রমণ ও ব্যস্ত মুহূর্তে ফোনের ডাটা ও ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার মতো বিড়ম্বনা আর নেই। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা কখনো কখনো মোবাইল ডাটা দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি লক্ষ করেন। আবার অনেক সময় দেখা যায়, ফোন ব্যবহার না করলেও চার্জ কমে আসছে দ্রুত। এই সমস্যার পেছনে দায়ী কিছু অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। যেগুলো ব্যবহারকারীর অজান্তেই ব্যাকগ্রাউন্ডে অতিরিক্ত ডাটা ও ব্যাটারি খরচ করে। প্রযুক্তিবিদেরা এমন অ্যাপগুলোকে ব্যাটারির ‘ভ্যাম্পায়ার’ বা রাক্ষস বলে অভিহিত করেন।
ব্যাকগ্রাউন্ডে সচল থাকা অ্যাপ
অনেক অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো ব্যবহারকারী সরাসরি ব্যবহার না করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে নানা কার্যক্রম চালিয়ে যায়। বিশেষ করে যেসব অ্যাপ রিয়েলটাইম তথ্য দেখায় বা সার্ভারের সঙ্গে বারবার তথ্য আদান-প্রদান করে, সেগুলোর ডাটা খরচ বেশি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদ অ্যাপ কিংবা ই-মেইল সেবায় এমন কার্যক্রম স্বাভাবিক। ফোনে থাকা ডাটা ক্যাশে সংরক্ষণ করেও কিছু অ্যাপ ডাটা খরচ করে, যাতে পরবর্তীবার চালু করলে দ্রুত লোড হয়। আবার কিছু অ্যাপ ‘প্রিফেচিং’ পদ্ধতিতে আগেভাগেই তথ্য ডাউনলোড করে নেয়, যেটিও ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা ব্যবহার বাড়িয়ে দেয়।
লোকেশনভিত্তিক অ্যাপ বেশি সক্রিয়
গুগল ম্যাপস বা ওয়েজের মতো নেভিগেশন অ্যাপ ব্যবহার করলে নিয়মিত লোকেশন আপডেট করতে হয়। স্যাটেলাইট বা মোবাইল টাওয়ারের মাধ্যমে এ তথ্য আদান-প্রদান করতে গিয়ে ডাটা যেমন খরচ হয়, তেমনি ব্যাটারিও দ্রুত ফুরিয়ে যায়।
ভিপিএন চালু থাকলে বাড়ে ডাটা ব্যয়
অনেকে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে মোবাইলে ভিপিএন ব্যবহার করেন।
বারবার পুশ নোটিফিকেশন
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম কিংবা মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপ নিয়মিত নোটিফিকেশন পাঠায়। এমনকি অ্যাপটি চালু না থাকলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে সক্রিয় থাকতে হয় এসব সেবার জন্য।
ভিডিও ও মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ
ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, ডিজনি+ কিংবা স্পটিফাইয়ের মতো স্ট্রিমিং অ্যাপ অনেক ডাটা খরচ করে। বিশেষ করে স্পটিফাই ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে পারে এবং ব্যবহারকারীর লাইব্রেরির সঙ্গে সিঙ্ক রাখে। যা ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা খরচ বাড়িয়ে দেয়। গানের গুণগত মান অনুযায়ী প্রতিটি গান ০.৭২ এমবি থেকে ৯.৭ এমবি পর্যন্ত ডাটা খরচ করতে পারে। তবে স্পটিফাইয়ে থাকা ‘ডাটা সেভার’ মোড চালু রাখলে ডাটা ব্যবহার কমানো সম্ভব।

প্যানেল

×