বয়স বাড়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া—তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে বয়স বাড়লেও সুস্থ, ফিট ও প্রাণবন্ত থাকা সম্ভব। এমন পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. শাহনাজ চৌধুরী। তিনি বলেন, সঠিক খাদ্যতালিকা শরীরকে চাঙা রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ায়।
প্রোটিন: পেশিশক্তি ধরে রাখতে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের পেশিশক্তি কমে যায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ, ডিম, মাছ, মুরগির মাংস ও ডালজাতীয় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি বলে জানান ডা. শাহনাজ। তাঁর মতে, প্রতিদিন অন্তত একটি বা দুটি প্রোটিন উৎস খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।
আঁশযুক্ত খাবার: হজম ভালো রাখতে
বয়স বাড়লে হজমের সমস্যা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এসব সমস্যা প্রতিরোধে লাল আটার রুটি, বাদামি চালের ভাত, ওটমিল, কিনোয়া এবং বিভিন্ন শাকসবজি ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি: হাড় মজবুত রাখতে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ, টকদই ও পালংশাকের মতো ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার রাখা উচিত। পাশাপাশি, ভিটামিন ডি পাওয়ার জন্য সকালে অন্তত ২০ মিনিট রোদে হাঁটারও পরামর্শ দেন তিনি।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: হৃদয় ও মস্তিষ্কের জন্য
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, বিভিন্ন বাদাম ও গ্রিন টির মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার হৃদয় ও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে বলে উল্লেখ করেন এই চিকিৎসক।
পানি: শরীরকে হাইড্রেট রাখতে
ডা. শাহনাজের মতে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের আর্দ্রতা কমে যায়, তাই প্রতিদিন সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পানি খেতে হবে।
কম লবণ, কম চিনি: উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
তিনি বলেন, ‘‘এই দুই উপাদানে লাগাম টানতেই হবে। না হলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়।’’
ওমেগা-৩: প্রদাহ ও হৃদরোগ প্রতিরোধে
সামুদ্রিক মাছ যেমন টুনা, সার্ডিন, স্যামন, বাদাম ও বীজজাতীয় খাদ্য যেমন আখরোট, কাঠবাদাম, চিয়া ও ফ্লেক্সসিড—সবগুলোতেই রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্ক ভালো রাখে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
সানজানা
