ছবিঃ সংগৃহীত
শ্যাম্পু কতবার ব্যবহার করা উচিত—এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই, যা সবার ক্ষেত্রে খাটে। চুলের ধরন, পরিবেশ, জীবনযাপন এবং ত্বকের স্বাভাবিক তেল নিঃসরণের হার—এসব কিছুর ওপর নির্ভর করে সঠিক নিয়ম। যদি ভাবেন, যত বেশি শ্যাম্পু করবেন, চুল তত ভালো থাকবে—তা হলে ভুল করবেন। এমনকি বাজারের সবচেয়ে নামকরা শ্যাম্পুও প্রতিদিন ব্যবহার করা হলে চুলের ক্ষতি করতে পারে।
নর্থ ক্যারোলাইনা ওয়েক ফরেস্ট স্কুল অব মেডিসিনের প্রফেসর ড. অ্যামি ম্যাকমাইকেল জানান, না জেনে প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুল পড়া বাড়ে, চুল ভেঙে যায় এবং মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। আবার চুলের ধরন না বুঝে অনেক দিন পর পর শ্যাম্পু করলেও চুলে ময়লা জমে, তেল বাড়ে, মাথায় চুলকানি শুরু হয় এবং জট পড়ে।
শ্যাম্পুর কাজ কী?
শ্যাম্পু মূলত বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের সংমিশ্রণে তৈরি যা চুলের তেল-ময়লা, মৃত কোষ ও ধুলাবালি দূর করে। এতে থাকে পরিষ্কারক উপাদান যেমন সোডিয়াম লরেল সালফেট, ফোমিং এজেন্ট, সিলিকন, প্যানথিনল ইত্যাদি, যা চুলকে পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি মসৃণ ও চকচকে করে।
তাহলে সপ্তাহে কতবার শ্যাম্পু করবেন?
ড. ম্যাকমাইকেল বলছেন, এই সিদ্ধান্ত চুলের ধরন ও জীবনযাপনের ওপর নির্ভর করে:
প্রতিদিন শ্যাম্পু করবেন: যদি আপনার চুল খুব বেশি তৈলাক্ত হয়, আপনি নিয়মিত জিম করেন বা ধুলাবালিময় পরিবেশে কাজ করেন।
সপ্তাহে ৩ দিন শ্যাম্পু করুন: যদি আপনার চুল স্বাভাবিক বা সোজা ধরনের হয় এবং মাথার ত্বকে তেলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত থাকে।
সপ্তাহে ১ দিন বা দুই সপ্তাহে ১ দিন: যদি আপনার চুল রুক্ষ, শুষ্ক বা কোঁকড়ানো হয়। কোঁকড়ানো চুলে তেল পৌঁছাতে সময় লাগে, আবার ময়লা সহজে ঢোকে না—তাই শ্যাম্পু কম করাই ভালো।
চুলের টেক্সচার অনুযায়ী নিয়ম:
কোঁকড়ানো চুল: সপ্তাহে ১ দিন, তবে শ্যাম্পুর পরিমাণ খানিকটা বেশি।
সোজা চুল: সপ্তাহে ২-৩ দিন।
ঢেউখেলানো চুল: সপ্তাহে ২-৩ দিন, তবে মাথার তেল ও ময়লার ভিত্তিতে সামান্য কম-বেশি হতে পারে।
শেষ কথা:
শ্যাম্পুর ব্যবহার নির্ভর করে চুল ও স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক অবস্থা এবং আপনার দৈনন্দিন অভ্যাসের ওপর। তাই কারও রুটিন দেখে অন্ধভাবে অনুসরণ না করে, নিজের চুল বুঝে তবেই শ্যাম্পুর নিয়ম তৈরি করুন।
মুমু
