
ভারতের মুম্বাই শহরে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে বসবাসের পর সাত বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ শুক্রবার ভোরে ঠাকুরগাঁও হরিপুরের চাপাসার সীমান্ত দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
দিনাজপুর ব্যাটালিয়নের ৪২ বিজিবি’র অধিন ঠাকুরগাঁও হরিপুরের চাপসার বিওপির দায়িত্বধীন ৩৪৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি জানায়, ফেরত পাঠানো সাতজনের মধ্যে দুজন পুরুষ, চারজন নারী ও একজন শিশু রয়েছে। তাঁরা ২০-২৫ বছর আগে দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন এবং পরে জীবিকার তাগিদে মুম্বাইয়ে বসবাস শুরু করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, সাহিনা বেগম (৪৬), তাঁর স্বামী মো. শহীদ শেখসহ সাইফুল ইসলাম (৩০), শরিফুল শেখ (১৭), রেকসোনা খাতুন (২৬), মোছা. ছাবিনা খাতুন (২৪)। উল্লেখিত পাঁচজন যশোর জেলার নোয়াপাড়া থানার গাজিরহাট পেরুলী গ্রামের বাসিন্দা। বাকি দুজন আয়না খাতুন (৩৫) ও তাঁর চার বছরের মেয়ে আরিফা খাতুন, যাদের বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার যাদবপুর গ্রামে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, জীবিকার প্রয়োজনে তাঁরা মুম্বাইয়ে ছিলেন। ছয়-সাত দিন আগে মুম্বাই পুলিশ তাঁদের আটক করে সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে এবং আজ ভোরে বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়।
বিজিবি জানায়, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে। পরে আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাঁদের হরিপুর থানায় হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ঘটনার পর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশি নাগরিকদের এভাবে পুশ ইনের ঘটনায় বিজিবি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানায়।
দিনাজপুর ৪২-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান বলেন, সীমান্ত এলাকায় মানব পাচার, অনুপ্রবেশ ও অন্য অপরাধ প্রতিরোধে বিজিবি সর্বদা তৎপর। এসব বিষয়ে স্থানীয়দের সচেতন থাকার পাশাপাশি তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
মিরাজ /রাজু