
সংগৃহীত
সুস্থ জীবনযাপনের অনুসারীরা চিয়া সীড কে সুপার ফুড হিসেবে গ্রহণ করলেও সম্প্রতি হার্ভার্ডের প্রখ্যাত লিভার বিশেষজ্ঞ ড. সৌরভ সেটি সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাঁর মতে, ভুল পদ্ধতিতে চিয়া সীড খেলে তা শ্বাসনালি বা হজম নালির জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
চিয়া সীড উচ্চমাত্রার ফাইবার ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ হলেও একে সঠিকভাবে প্রস্তুত না করলে বিপত্তি ডেকে আনতে পারে। বিশেষ করে, শুকনো অবস্থায় খেলে তা গলায় আটকে যেতে পারে বা খাদ্যনালিতে জ্যাম তৈরি করতে পারে।
কোন অবস্থায় চিয়া সীড ক্ষতিকর হতে পারে?
চিয়া সীড পানিতে ভিজিয়ে না খেলে তা শরীরের ভিতরে গিয়ে ফুলে ওঠে এবং শ্বাস বা হজম প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা দ্রুত খাওয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত, তাঁদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
নিরাপদভাবে খাওয়ার তিনটি উপায়
১. চিয়া পুডিং
- এক টেবিল চিয়া সীড আধা কাপ দুধ বা বাদাম দুধে ২-৩ ঘণ্টা কিংবা রাতভর ভিজিয়ে রাখুন। এতে সীড থেকে জেল তৈরি হয়, যা হজমে সহজ এবং উপকারী।
২. চিয়া ফ্রেস্কা
- এক গ্লাস ঠান্ডা পানিতে ১৫ মিনিট চিয়া সীড ভিজিয়ে তারপর লেবু ও সামান্য মধু দিয়ে পান করুন। এটি একটি স্বাস্থ্যকর ও হাইড্রেটিং পানীয় হিসেবে কাজ করে।
৩. স্মুদির সঙ্গে মিশিয়ে
- চিয়া সীড আগে থেকে ভিজিয়ে রেখে তারপর সমুদ্র মধ্যে মিশিয়ে নিলে তা সহজে হজম হয় এবং কোনো গাঁথুনি তৈরি করে না।
চিয়া সীডের উপকারিতা
- সঠিকভাবে খেলে চিয়া সীড ওজন নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল হ্রাস, পেট পরিষ্কার রাখা ও হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়ক। তবে এতে "লিভার ডিটক্স" ক্ষমতা রয়েছে, এমন দাবি ভুল ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়।
চিয়া সীড যথাযথ উপায়ে ভিজিয়ে খেলে এটি একটি কার্যকর ও পুষ্টিকর উপাদান হতে পারে। তবে শুকনো অবস্থায় বা পর্যাপ্ত তরল ছাড়াই খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ার আগে খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা প্রয়োজন।
হ্যাপী