ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২১ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

বুকের দুধ বৃদ্ধিতে পানি ও পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব

প্রকাশিত: ০০:৪৭, ২১ জুন ২০২৫

বুকের দুধ বৃদ্ধিতে পানি ও পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব

নবজাতকের সুস্থ বিকাশের জন্য মায়ের বুকের দুধ অপরিহার্য। এই দুধের পরিমাণ বাড়াতে মাকে শুধু খাবারের দিকেই নজর দিতে হবে না, বরং পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও সচেতন থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বুকের দুধ বৃদ্ধির জন্য প্রথম ও প্রধান পরামর্শ হলো পর্যাপ্ত পানি পান। প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস করে পানি অথবা প্রতিবার বাচ্চাকে ফিডিং দেওয়ার আগে এক গ্লাস পানি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। শুধু পানি নয়, এর পাশাপাশি পানি জাতীয় খাবার যেমন স্যুপ, ফলের রস, দুধ কিংবা পাতলা করে রান্না করা সবজি ও মাছের সুপও খাওয়া যেতে পারে।

একজন স্তন্যদানকারী মাকে ভালো মানের প্রোটিন গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন, প্রতিদিন ২-৩টি ডিম খাওয়া, এবং চিরাচরিত প্রোটিন চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণে মুরগির মাংস বা মাছ খাওয়া দরকার। যদি দৈনিক প্রোটিন চাহিদা ৯০ গ্রাম হয়, তবে এই সময় সেটিকে দ্বিগুণ করে খাওয়াই উচিত। পাশাপাশি প্রতিদিন অন্তত দুই সার্ভিং দুধ বা দই খাওয়ার কথা বলা হয়, অর্থাৎ দিনে প্রায় ৪০০ মিলিলিটার দুধ বা সমপরিমাণ দই।

ডালকেও স্যুপের মতো করে খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা যেতে পারে। তবে শুধু খাদ্য গ্রহণেই দুধ উৎপাদন বাড়বে—এমনটি ভাবা ভুল। মায়ের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটাহাঁটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হরমোন স্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ভারসাম্য ঠিক রাখাও এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, যদি মা মানসিক চাপে থাকেন বা অত্যধিক স্ট্রেস অনুভব করেন, তবে অনেক পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরেও দুধের পরিমাণ কমে যেতে পারে বা বন্ধও হয়ে যেতে পারে। তাই মানসিক সুস্থতাও এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি।

সূত্র ঃ https://www.facebook.com/share/r/19CHiXkWMn/

 

রাজু

×